সুদীপ পাল, পূর্ব বর্ধমানঃ
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কর্মসূচি ঠিক করে দিয়েছেন। কর্মসূচিতে রয়েছে, সেই সমস্ত প্রাক্তন দলীয় কর্মীদের আমন্ত্রণ করে ফের দলের মধ্যে জড়িয়ে নিতে হবে যারা অতীতে সক্রিয়ভাবে দল করলেও বর্তমানে ‘অভিমান’ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন।
এই উদ্দেশ্য নিয়েই পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম বিধানসভা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের স্বীকৃতি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল তাঁদেরকেই স্বীকৃতি সংবর্ধনা দেওয়া হল যাঁরা বহাল তবিয়তে বর্তমানের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বা আঞ্চলিক সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন। গুসকরা পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর মল্লিকা চোংদার এই সংবর্ধনা প্রসঙ্গে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন।
আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা চলাকালীন শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
স্বীকৃতি স্বরূপ সংবর্ধনা দেওয়া হয় জিয়াউল হক নামে এক যুবক কর্মীকে যিনি আউসগ্রাম রামনগর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। জিয়াউলের বাবা আসগর আলীকে সংবর্ধনা দেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার। আসগর আলী হলেন রামনগর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি।
‘বাংলার গর্ব মমতা’ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুরনো কর্মীদের স্বীকৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে যাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হল তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিদায়ী কাউন্সিলর মল্লিকাদেবী।
তিনি বলেন, গুসকরায় এমন অনেক কর্মী রয়েছেন যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে দলের জন্য কাজ করেছেন।বর্তমানে দলে আর গুরুত্ব পাচ্ছেন না। অথচ তাঁরা দলকে এখনো ভালোবাসেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তাঁরা ডাক পেলেন না।
এই বিষয়ে বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারের দাবি, দল থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সেই তালিকা ধরেই সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584