নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর। এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে মৃত ছাত্রীর বাবা ও মা। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ শহরের ব্যস্তবহুল রথবাড়ি এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। গুরুতর জখম ওই ছাত্রীর বাবা মাকে ভর্তি করানো হয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনার পর এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় লরি চালক। পরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ লরিটিকে আটক করে। চালকের খোঁজ শুরু করেছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , মৃত ছাত্রীর নাম মাসুমা ইয়াসমিন (১৫)। তার বাড়ি পুরাতন মালদহ থানার মঙ্গলবাড়ি খয়েরাতি পাড়া এলাকায় । ওই ছাত্রী মালদহ গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছিল। এদিন দুপুরে স্কুল ছুটির পর বাবা-মায়ের সঙ্গে মোটরবাইক করে বাড়ি ফিরছিলো সে। কিন্তু রথবাড়ি পেট্রোলপাম সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বেপরোয়া একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে মোটরবাইকটিতে ধাক্কা মারে। মাথায় চোট পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন মৃত ছাত্রীর বাবা পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক ফজলুল ইসলাম (৫২) এবং মা নার্গিস বিবি (৪৫)। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
মৃত ছাত্রীর এক প্রতিবেশী পুলিশকে জানিয়েছেন, দুপুরে ফজলুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে মালদহ শহরের ওই স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে আসছিলেন। মোটর বাইকের পিছনে বসে ছিল তার মেয়ে। মালদহ শহরের রথবাড়ি এলাকায় বেপরোয়া লরির ধাক্কায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। ফজলুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জখম অবস্থায় এখন চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুনঃদুষ্কৃতির গুলিতে আহত স্কুল ছাত্র সহ ১ ব্যক্তি
এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। লরিটি আটক করার পাশাপাশি চালকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584