নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সম্প্রতি আজিম প্রেমজী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অফ সাসটেনেবল এমপ্লয়মেন্ট’ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে যাতে বলা হয়েছে ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ অবধি বেকারত্বের সংখ্যা অভুতপূর্ব ভাবে বেড়েছে। জেএনইউ এর অর্থনীতির অধ্যাপক সন্তোষ মেহতা এবং কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জজাতি কে.পারিদা এর মতে, এই কয়েক বছরে ১৫-২৯ বছর বয়সী যুবকদের গড় কর্মসংস্থান ৯ মিলিয়ন কমেছে।
একতি জাতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই গবেষণা পত্রের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০০৪-০৫ এ এই বেকারত্বের সংখ্যা ৮.৯ মিলিয়ন ছিল। ২০১১-১২ তে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ মিলিয়নের কাছাকাছি এবং ২০১৭-১৮ এ এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২৫.১ মিলিয়ন।
যদিও অনিয়মিত ও প্রান্তিক কর্মসংস্থানের অংশটি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তবুও বেশিরভাগ চাকরিই অগঠিত ও বেসরকারি খাতের ক্ষুদ্র ইউনিট এর দখলে রয়েছে। ওই গবেষনাপত্রের সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০১৭-১৮ তে ‘নন-ফার্ম’ বেকারত্বের পরিমাণ ছিল ৬৮ শতাংশ। পাশাপাশি সরকারি খাতেও সরকারি চাকুরির অভাবের দিকে ইঙ্গিত করে আনুষ্ঠানিক কাজের অংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ টোটো সমস্যা মেটাতে বৈঠক প্রশাসনের
কৃষিক্ষেত্রে ২০১১-১২ এবং ২০১৭-১৮ সালে বছরে ৪.৫ মিলিয়ন (মোট ২৭ মিলিয়ন) হারে কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। কৃষি ও জোট খাতে কর্মসংস্থান ভাগের পরিমাণ ৪৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশে। মেহরোত্রার মতে, ২০১১-১২ সালে কৃষি খাতে মোট কর্মসংস্থান ২৩২ মিলিয়ন থেকে কমে ২০১৭-১৮ সালে ২০৫ মিলিয়ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে পরিষেবা খাত এবং নন-ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে বেকারত্ব ৫৫ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫৯ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। তবুও, ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে মোট কর্মসংস্থান ৬০ মিলিয়ন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ মিলিয়নে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584