মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
তৃনমুলের এক কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে মারধোর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ১ নং ব্লকের গোসানিমারি চৌপথী এলাকায়। আক্রান্ত ওই তৃনমূল কর্মীর নাম সোমনাথ চক্রবর্তী। তার বাড়ি গোসানিমারি এলাকায়। ওই ঘটনার খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দিনহাটা থানার পুলিশ। পরে পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ কর্মকার, মধু বর্মণ, সম্রাট বর্মণ সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তৃনমূলের অভিযোগ, গোসানিমারি ২ নং ব্লকের মাল্লিরহাট এলাকায় তৃনমূলের একটি মিছিল ছিল। সেই মিছিল শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে গোসানিমারি চৌপথী এলাকায় বিজেপির কিছু দুষ্কৃতি তৃনমূল কর্মী সোমনাথ চক্রবর্তীকে তুলে নিয়ে বিজেপি পার্টি অফিসের ভিতরে ব্যাপক মারধোর করে করে বলে অভিযোগ।
যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা।
হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে তৃনমূল কর্মী সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, আমি মাল্লিরহাট এলাকায় তৃনমূলের একটি মিছিলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে গোসানিমারি চৌপথী এলাকায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে ১৫-২০জন বিজেপি কর্মী এসে আমাকে মারতে মারতে তাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে অফিসের জানলা দরজা বন্ধ করে ব্যাপক ভাবে মারধোর ও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমার পকেটে মানিব্যাক ছিল তারা সেটা নিয়ে নেয়। ওই মানিব্যাগে ৩০০০ টাকা ছিল এবং বেশ কিছু দরকারি জিনিসপত্র ছিল বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করান।
যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি ভবেন চন্দ্র রায় বলেন,“সোমনাথ চক্রবর্তী প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের অনুগামী। সে এলাকায় বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা পয়সা তুলেছে। সেই টাকা ফেরৎ চায় সাধারন মানুষ। সেখানে ওই সাধারন মানুষের সাথে বসচা হয় এবং সেখানে তাকে মারধোর করে। ওই ঘটনার সাথে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই।”
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের পাপ বিজেপিতে এসে প্রায়শ্চিত্ত করেছেন, মত সৌমিত্রর
এবিষয়ে প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃনমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকারী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, আমাদের তৃনমূল কর্মী সোমনাথ চক্রবর্তী মিছিল করে ফিরছিল তখন তাকে নক্করজনক ভাবে মেরেছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনেরে দ্বারস্থ হয়েছি। গোটা বিষয়টা পুলিশ তদন্ত করছে। আর বিজেপি কোন নেতা কি বলল তাতে কোন যায় আসে না। বিজেপি এধরনের অভিযোগ তুলে বাজার গরম করার চেষ্টা করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584