শ্বশুর বাড়িতে হত্যার চেষ্টা,উপস্থিত বুদ্ধি বাঁচিয়ে দিল গৃহবধূর প্রাণ

0
120

শ্যামল রায়,কালনাঃ

একবধূকে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একটি ফোন কলেই নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বাঁচলো বধূর প্রাণ।

Accusation of attempts to murder against in laws family
চিকিৎসাধীন গৃহবধূ।নিজস্ব চিত্র

এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তারের পর বাকিদেরও গ্রেপ্তার করতে জোর  সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।গুরুতর আহত অবস্থায় বধূটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি নাদনঘাট থানার খরশগ্রামের।এই গ্রামের কবির মন্ডলের সাথে দেখেশুনে রীতিমত পণ দিয়ে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় পাশের শাঁকরা  গ্রামের মেয়ে আজমিরা খাতুনের।

কালনা  সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় বৃহস্পতিবার আজমিরা জানায়, বিয়ের আড়াই বছর পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।তারপর থেকেই  তার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শাররীক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে।অত্যাচারের পর  শাসিয়ে বলা হতো তোর মৃতদেহ বাক্সের মধ্যে ভরে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।এসব অত্যাচার সহ্য করে থেকেও শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার একেবারে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে সে বাঁচে।

আজমিরার অভিযোগ মঙ্গলবার দুপুরবেলা থেকেই শারীরিক অত্যাচার শুরু   করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।এক সময় সুযোগ পেয়ে গোপনে আমার বাপের বাড়ি ফোন করে জানিয়ে দিই আমার উপর চরম অত্যাচার শুরু হয়েছে।তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।জ্ঞান হওয়ার পর দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।

আরও পড়ুনঃ গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে

আজমিরার মা আলেয়া বিবি জানান,আমরা ফোন পাওয়ার পরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ি হাজির হই।গিয়ে দেখলাম আমার বেয়ান ঘরের বারান্দায় বসে আছে,আর কেউ বাড়িতে নেই।মেয়ের সন্ধান করতে করতে একটি বদ্ধ ঘরের দরজা খুলে দেখি মেয়ে ঘরে ঝুলছে।সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি।চিকিৎসা শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর আমার মেয়ের জ্ঞান ফিরে আসে।

এদিন আজমিরা বলে, আমাকে কাঠের হুড়কো দিয়ে মারার সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here