শ্যামল রায়,কালনাঃ
কালনা মহকুমার অন্তর্গত পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বর থানার বিরুদ্ধে উঠছে নানা অভিযোগ।সম্প্রতি কালীপুজোর চাঁদা তোলার ঘিরে বিতর্ক ঘিরে খবরের শিরোনামে আসে পূর্বস্থলী থানা।রশিদ ছেপে সাধারণ মানুষের মানুষের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা তোলায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বস্থলী থানার কবিরউদ্দিন খান সহ দুই এ এস আই এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে জেলা পুলিশ।জেলা পুলিশ সুত্রের খবর অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।শুধু তাই নয় কয়েকদিন পূর্বে লাল মহম্মদ শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।অভিযোগ এই যে,ধৃত অভিযুক্ত ডিউটি অফিসারের ঘরে রাত্রিবাস করে এবং সকাল হলে উধাও হয়ে যায়।পরবর্তীতে পলাতক অভিযুক্তকে পুনরায় গ্রেফতার করে পুলিশ।বিচার বিভাগীয় তদন্তে সেই দিনের দায়িত্বে থানা এ এস আই ভোলানাথ মাল এবং এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করে জেলা পুলিশ।এছাড়াও পূর্বস্থলী থানার বিরুদ্ধে বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ সহ ভিন রাজ্য থেকে আইনজীব অপহরন সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে।আইনজীবী অপহরনের অভিযোগে ষোলদিন ধরে কালনা মহকুমা আদালত বয়কট করে আইনজীবীরা।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ যে,রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার অঙ্গুলি হেলনে চলছে থানা তাই কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
একের পর এক অভিযোগে নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ।জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
শুধু পূর্বস্থলী নয় এই মহকুমার অর্ন্তভুক্ত মন্তেশ্বর থানার বিরুদ্ধেও উঠছে বিভিন্ন অভিযোগ।বিগত দেড় মাস পূর্বে এই থানা এলাকায় এক কিশোরী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দোষীদের গ্রেফতার না করার অভিযোগ ওঠে।দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় মানুষের অবরোধ আন্দোলনের ফলে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ আধিকারিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।একই মহকুমার একের পর এক থানায় আইনের শাসনের এই অবনতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা একই সঙ্গে ক্ষুব্ধ এবং ভীত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584