নাবালিকা শ্যালিকাকে অপহরণের অভিযোগ জামাইবাবুর বিরুদ্ধে

0
55

মনিরুল হক,কোচবিহারঃ

বিয়ের দশ দিন পরেই নাবালিকা শালিকে অপহরনের অভিযোগ উঠলো জামাইবাবুর বিরোদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের গাদোপোতা গ্রাম এলাকায়।ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।ওই ঘটনার পর নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে শিতলকুচি থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Accusation of kidnapped minor girl against brother in law
ছবিঃ প্রতীকী

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাত্র দশ দিন আগে স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল মিয়াঁর বড় মেয়ের সাথে ওই গ্রামের জামিদুল মিয়াঁ নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়।তারপর বিয়ের পর শ্যালিকা তাঁদের বাড়িতে এসে দুদিন ছিল।তারপর বিয়ে দশ দিনের মাথায় ওই শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান ওই নাবালিকা শ্যালিকার সাথে বিয়ে আগে থেকে হয়তো তাঁদের সাথে চেনা জানা বা প্রেম থাকলেও থাকতে পারে বলে অনুমান। তা না হলে নতুন জামাইবাবুর সাথে দশ দিনে শ্যালিকার কি এমন পরিচয় বা সম্পর্ক হয় তা থেকেই পালিয়ে যেতে হল নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে।

যদিও নাবালিকা মেয়ের বাবা তার বড় মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শীতলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে।

ওই নাবালিকার মেয়ের বাবা একরামুল মিয়াঁ বলেন,দশ দিন আগে আমার বড় মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় এই গ্রামেরই যুবক জামিদুল মিয়াঁর সঙ্গে। তারপর বিয়ের দশদিন পরেই জামিদুল মিয়াঁ বড় জামাই আমার ছোটো মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বর্তমানে আমার ছোটো মেয়ে নাবালিকা।সে গোসাইরহাট হাই স্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। ঘটনার পরের দিন থেকেই শ্যালিকা ও জামাইবাবু দুজনেই নিখোঁজ রয়েছে। তারপর আমার সন্দেহ হচ্ছিল যে জামাই জামিদুল মিয়াঁ ছোটকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। তাই আমি কোন উপায় না পেয়ে শীতলকুচি থানার দ্বারস্থ হলাম এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় জামিদুল মিয়াঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে মৃত্যু

শীতলকুচি থানার পুলিশ জানিয়েছেন,অপহৃত ওই নাবালিকা মেয়ের বাবা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here