নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
মদ্যপ ভাইয়ের অত্যাচারের হাত থেকে মাকে বাঁচাতে, নিজের ছোটো ভাইকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মী। অভিযুক্ত অরুন কুমার রায় রায়গঞ্জে রাজ্য পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের কনেস্টবল পদে চাকরী করেন। তিনি আলিপুরদুয়ার থানার মাদারিহাট থানার পশ্চিম খয়েরবাড়ির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, গ্রেফতার মায়ের নাম ধৌলি রায়। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ফালাকাটা স্টেশনের সামনে একটি মারুতি ভ্যানে বাক্স বন্দি একটি মৃতদেহের হদিশ পায় ফালাকাটা স্টেশনের আরপিএফ। ফালাকাটা থানায় খবর দেন তারা।
পরে ফালাকাটা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে বাক্স বন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মারুতিতে থাকা খুন হওয়া যুবকের মা ও দাদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম বরুন রায়(২৬)। নিয়মিত মদ্যপান করে বাড়িতে অশান্তি করত ওই যুবক। সেই অশান্তি থেকে বাচতে ঘরের দরজার কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে ওই যুবককে খুন করেছে দাদা অরুন। এদিকে পুলিশের কাছে গ্রেফতার মা দাবি করেন মদ্যপ ছেলের হাত থেকে বাঁচতে তিনিই তাকে খুন করেছেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে ৯ আগষ্ট রাত সাড়ে এগারটায় এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে মা ও ছেলে।
শনিবার মৃতদেহ লোপাটের জন্য তা বাক্স বন্দী করা হয়। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন,“ আমরা মা ও দাদাকে গ্রেফতার করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিভাবে কবে এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুইজন এই খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন। এখনই এর বেশিকিছু বলা যাবে না।”
এদিকে ফালাকাটা স্টেশনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন দাদা অরুন রায়।
আরও পড়ুনঃ বিয়েতে না বলায় বধূকে কোপ
তিনি বলেন,“ মদ্যপ ভাইয়ের অত্যাচারে আমরা পরিবারের সকলে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলাম। তাই তাকে আমিই মেরে ফেলেছি। এর জন্য আমার কোন অনুতাপ নেই। তবে আমি আইনের লোক। আইন আমাকে যে শাস্তি দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584