পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
নানুর থানা রামকৃষ্ণপুরে বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই খুনের মামলায় নাটকীয় মোড় নিল। শনিবার সন্ধ্যেবেলায় বোলপুর তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন স্বরূপ গড়াই এর স্ত্রী চায়না গড়াই।
চায়না দেবী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যেদিন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেদিন থেকেই তার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা ভুল বুঝিয়ে এবং মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপিতে যোগদান এ বাধ্য করে, তাই পথভ্রষ্ট হয়ে কিছুদিন বিজেপি দলের সঙ্গে যোগ বেঁধেছিল স্বরূপ গড়াই। কিন্তু মৃত্যুর পর বুঝতে পেরেছি বিজেপি নোংরা রাজনীতি করেছে আমাদের পরিবারের সাথে। আমাদেরকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আমার স্বামীর খুনের অভিযোগ করিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পরে আমাদের মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না তাই রাজনৈতিকভাবে বিজেপি যে চক্রান্ত করেছে তা আমরা বুঝতে পারিনি, ভুল বুঝতে পেরে আমরা তৃনমূল কংগ্রেসের ফিরে এসেছি এবং যেসব তৃণমূল কর্মী নেতাদের বিরুদ্ধে আমার স্বামীর খুনের অভিযোগ করেছি নানুর থানায় তা বিজেপি নেতাদের চাপে পড়ে করেছি।
চায়না গড়াই সাফ জানিয়ে দেন বিজেপি নেতা অনুপ গড়াই কিছু না বলে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয়, পরে জানতে পারি বেশকিছু তৃণমূল নেতাদের নাম আমার সই করা সাদা কাগজে লিখে নানুর থানায় অভিযোগ করে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন প্রথম থেকেই দাবি করেছিলাম স্বরূপকে আমাদের দলের কোন কর্মী খুন করেনি, আজ সত্য প্রমাণিত হয়ে গেল।
আরও পড়ুনঃ ঝোঁপ থেকে দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য কোলাঘাটে
স্বরূপের মৃত্যু খুব দুঃখজনক দল ওর পরিবারের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি আরো দাবি করেন মৃত স্বরূপ গড়াই এর স্ত্রী চায়না গরাই নানুর থানায় একটি লিখিত দেন যাতে তিনি পরিষ্কারভাবে লিখেছেন যেসব তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে তার স্বামীর খুনের অভিযোগ করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আর কোন অভিযোগ নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584