পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করে নৃশংসভাবে খুন হতে হল নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে।
নৃশংস বললেও কম বলা হবে,শ্বশুরবাড়ির লোকজন, চোখের লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়,শিলনোড়া দিয়ে দাঁত ভেঙে দেয়,তারপরে জীবন্ত অবস্থায় গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়,গৃহবধু চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়,পরে সেখানে গৃহবধূর মৃত্যু হয়।মৃত গৃহবধূর সরস্বতী মেটে।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নানুর থানার মোহনপুর গ্রামে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই এক মহিলার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সরস্বতী মেটের স্বামী অমল মেটে।স্বামীর অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনা জানার পর থেকেই প্রতিবাদ শুরু করে সরস্বতী মেটে। হামেশাই অমল মেটে স্ত্রী সরস্বতী মেটেকে মদ্যপ অবস্থায় মারধোর করতো বলে অভিযোগ।
মৃত গৃহবধূর বাবা সজল মাঝি জানান,গত বছর মেয়ে সরস্বতীর সাথে অমলের বিয়ে দিয়েছিলাম।ছেলের সমস্ত দাবি আমরা সাধ্যমতো পূরন করেছিলাম।কিছুদিন যেতে না যেতেই মেয়ে জানায় জামাই অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। তখন সবাই মেয়ের নতুন বিয়ে দিয়েছি তাই অন্য কিছু ভাবার অবকাশ ছিল না।অশান্তির জেরে মেয়ে কিছুদিনের জন্য বাপের বাড়ি চলে এসেছিল। ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বুঝতে পারিনি তখন বাপের বাড়ি থেকে মেয়েকে জামাইয়ের কাছে পাঠানোটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।তাই আজকে মেয়েকে চিরতরে হারাতে হলো।আমার মেয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো।অমল মেটে, সন্তোষ মেটে, বেলি মেটে, রিঙ্কু মেটে, সবাই মিলে আমার মেয়েকে খুন করেছে।
আরও পড়ুনঃ নিরাপত্তা রক্ষীর সার্ভিস রিভালবারের গুলিতে মৃত্যু সাফাইকর্মীর
পেশায় গাড়িচালক অমল মেটে মদ্যপ অবস্থায় অনেকবারই এসেছিল আমাদের বাড়িতে, যেভাবে অত্যাচারিত হতে হয়েছে আমার মেয়েকে,মৃত্যুর সময় যে যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়েছে,একি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি যেন অভিযুক্তরা পায় এমনটাই দাবি করেন মৃত গৃহবধূর মা শেফালী মাঝি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584