সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বসিরহাটের পর এবার বর্ধমান।পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই টক্কর ছিল।সেই টক্করের জন্যই প্রাণ গেল দলীয় কর্মীর।সমস্ত ঘটনাটিতে উত্তাল গলসি।
গলসি ২ ব্লকের সাটিনন্দীগ্রামে এগারোটি আসনের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয়টি আসন জিতেছিল তৃণমূল।বাকি পাঁচটি আসনে বিজেপি ২, তৃণমূল ১, সিপিএম ১ ও নির্দল একটি আসন পেয়েছিল।লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর থেকে ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায়।গ্রামের এগারটি আসনের সাতটিতে এগিয়ে যায় বিজেপি।তৃণমূলের দখলে থাকে চারটি।এই চাপানউতোরের মাঝে তৃণমূল কর্মী জয়দেব রায়কে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির ছাব্বিশ জনের বিরুদ্ধে।
এই কর্মীর বুথে ১৭৬ ভোটে জিতেছিল তৃণমূল।জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ কুইলে এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন।
কিন্তু কেন এই খুন? গ্রামবাসীরা বলছেন,কয়েক বছর আগে একটি মনসা মন্দির তৈরি করা নিয়ে দুই পাড়ার মধ্যে গোলমাল হয়েছিল।তখনকার মতো সেটি থেমে গেল পরবর্তীকালে শক্তি বাড়ায় বিপক্ষ হামলা করেছে।
বাসিন্দারা বলছেন, প্রথম থেকেই তৃনমূল করেন জয়দেববাবু।তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে এই এলাকায় কার্যত তিনি হয়ে উঠেছিলেন শেষ কথা।বাসিন্দাদের ছিলেন ভরসার জায়গা। তাই কেউ মদ খেয়ে স্ত্রীকে মারধর করলে বা গালিগালাজ করলে তিনি সরাসরি প্রতিবাদ করতেন। আর তাতেই ক্ষোভ বাড়ছিল অনেকের। তবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেননি বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে সশস্ত্র হামলা,অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক জয়দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন,বিজেপি ওখানে জিতলেও সংগঠন সেভাবে নেই।নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে এই ভদ্রলোক মারা গেছেন। বিজেপির নামে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584