পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
গৃহবধূকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ রাতের দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার সোঁজ গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম মৌটুসী মণ্ডল (২৩)। বাপের বাড়ি মুরারই থানার বড়ুয়া গ্রামে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে সোঁজ গ্রামের সুমন মণ্ডলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সুমন পেশায় গৃহশিক্ষক। তাদের বছর দুয়েকের একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বাড়ির পরিবারের অভিযোগ মেয়ে(মৌটুসী) অসুস্থ হওয়া তার চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সার আনার জন্য চাপ দিত।এই নিয়ে বিয়ের পর থেকেই দাবিতে শ্বশুর বাড়িতে অশান্তি হত। মাঝেমধ্যে মেয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত স্বামী, শ্বশুর প্রভাত মণ্ডল, শাশুড়ি অনিতা মন্ডল। জানা যাই “বুধবার বিকেলে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ফোনে খবর পেয়ে দাদু, মা, বাবা ও ভাই সোমনাথ ঘোষ সোঁজ গ্রামে যায়। বাবা মা ভাই সেখানে গাড়ি থেকে নেমে কিভাবে মেয়ের মৃত্যু হল জিজ্ঞাসা করতেই ছেলের কাকা জ্যাঠারা মারধর শুরু করে তাদের কে। দাদু ভগীরথ ঘোষের হাতে আঘাত লেগেছে । ভাই সোমনাথের চোখের আঘাত গুরুতর। খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে মল্লারপুর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে আনে। মন্টু ঘোষ ও সোমনাথের চিকিৎসা করানো হয়েছে মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ঘটনার পর থেকে স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি পলাতক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584