শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
বিয়ের পর থেকেই বধূর উপর অত্যাচার মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগ। অবশেষে বিষ মাখানো ভাত খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযো শ্বশুর শাশুড়ি নন্দায়সহ পরিবারের একাধিক জনের বিরুদ্ধে। ধানতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে মৃত বধুর নাম অজানা। মৃত বধুর বাবা বৃন্দাবন বাবু তেরো জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কল্যাণী থানায়।বাড়ি শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ধানতলা নরেন্দ্রপুর।
জানা গিয়েছে যে পাঁচ বছর আগে শান্তিপুরের বৃন্দাবন বাবুর মেয়ের সাথে বিয়ে হয় ধানতলা নরেন্দ্রপুর পিন্টু সাধুখাঁর সাথে। পিন্টু সাধুকা বিদেশে চাকরি করেন। বাড়িতে কয়েক বছর পর পর আসেন।
অভিযোগ যে তার এক নন্দায় তাকে ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।ওই বধূ গায়ের রং কালো থাকার কারণে বিয়ের পর থেকেই আরও অধিক পণের দাবি ছিল তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের তরফে। একদিকে গায়ের রং কালো অন্যদিকে কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ায় আরো অত্যাচার মারাত্মকভাবে বেড়ে যায় বধূর উপর।
গত শুক্রবার শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে যাবে বলে ঠিক করেছিল তিনি।অভিযোগ যে বধুকে বাপের বাড়ি যেতে দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেদিন রাতেই ভাতের সাথে বিষ মাখিয়ে খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে মৃত বধুর বাবা বৃন্দাবন এবং তার পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ। অভিযোগ যে ওই বধূকে ভাতের সাথে বিষ খাইয়ে মেরে ঘরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।পুলিশ যে উদ্ধার করে।পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং প্রধান অভিযুক্ত ভিম সাধুকা পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছেন যে অভিযুক্তকে ধরতে সমস্ত রকম তল্লাশি শুরু হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584