সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
গৃহবধূকে মারধোর করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন বজবজ থানায়।অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও শ্বশুর শ্বাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারি অফিসার।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার বজবজ থানার অন্তর্গত সামপুরের ঘটনা।ঘটনার জেরে এলাকাই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।সাত বছর আগে বজবজ থানার অন্তর্গত ওরিয়েণ্টাল মোড়ের শম্পা দাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার অন্তর্গত সামপুরের পাইক পাড়ার বাসিন্দা শান্তুনু দাসের বিবাহ হয়। শান্তুনু দাস পেশাই কাঠের পালিস মিস্ত্রি। বিবাহের পর বেশ কিছু দিন সুখে দিন যাপন করছিল।এক বছর পর তাদের একটি সন্তান হয়।তারপর সংসারে যেন নেমে আসে চরম বিপর্যয়।শান্তুনু দাস জুয়া মদ ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে।শান্তুনু শম্পাকে তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে।
শম্পা দাস বেশ কয়েক বার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনে।আর মেয়ের সুখের জন্য শম্পা দাসের বাপের বাড়ি থেকে টাকা দেয়। জামাই শান্তুনু দাসের ছাদ ফেলা বাড়িও করে দেয় কিন্তু শান্তুনু দাসের চাওয়ার পরিমাণ দিনে দিনে আরো বাড়তে থাকে।টাকা আনার জন্য শম্পাকে মারধোর গালিগালাজ করত,খেতে দিতনা এমন কি বাচ্চার মুখে থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে খেয়ে নিতো এই ভাবে অত্যাচারের মাত্রাছাড়া হয়ে গিয়েছিল সেই শম্পা ছয় মাস আগে বাড়িতে চলে যাই শম্পার বাপের বাড়ির লোকজন মেয়ে ও জামাইকে বুঝিয়ে শম্পাকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে যাই অশান্তি এতই চরম পর্যায়ে পৌঁচ্ছায় যে শম্পা কে মারধর করে গালে বিষ ঢেলে দিয় এবং শম্পার বাপের বাড়িতে শান্তুনু রাত ১টার সময় ফোন করে বলে যে তোমাদের মেয়ে বিষ খেয়েছে বলে বজবজ হাসপাতালে নিয়ে আসে বজবজ হাসপাতালে চিকিৎসকেরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করলে শান্তুনু দাস শম্পাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় এবং ভোরে শম্পার মৃত্যু হয়।বজবজ থানার পুলিশ খবর পেয়ে দেহ নিয়ে আসে।দেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য মমিনপুর পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেবে বজবজ থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুনঃ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীদের অবস্থান আন্দোলন প্রত্যাহার
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584