শ্যালিকাকে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষনের অভিযোগ জামাই বাবুর বিরুদ্ধে

0
142

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাঁশকুড়াঃ

নাবালিকা শ্যালিকাকে অপহরণ করে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল নিজের জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার বাগনান এলাকা থেকে ঐ নাবালিকাকে উদ্ধার করল পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।শনিবার পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।পুলিশ অভিযুক্ত প্রোমোটার জামাইবাবুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে তিন বছর আগে হাওড়ার খাদিনানের বাসিন্দা শেখ আজাদের সাথে পাঁশকুড়ার বেলুন এলাকার রানু খাতুনের বিয়ে হয়।তাদের দুই বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।স্ত্রী কন্যাকে নিয়ে সংসার করলেও অভিযুক্ত জামাই কু’নজরে দেখতো শ্যালিকাকে। সুযোগ পেলেই শ্যালিকার শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা চালাত।পরিবার সূত্রে জানা গেছে বখরী ঈদ উপলক্ষে সেখ আজাদ সপরিবারের নিজের শ্বশুর বাড়িতে আসে ২৪ শে অগাস্ট।২৫ অগাস্ট হঠাৎই কাউকে কিছু না বলে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে।এরপর স্কুল ফেরত শ্যালিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসার নাম করে বাইকে চাপিয়ে বাগনানের এক নির্মীয়মান আবাসনে নিয়ে যায়।সেখানেই নাবালিকাকে আটকে রেখে কীর্তিমান জামাই লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

আক্রান্ত শ্যালিকা।নিজস্ব চিত্র

নাবালিকা ছাত্রীর কোন খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোক দ্বারস্থ হয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশের কাছে।এরপর পুলিশ জামাইয়ের মোবাইল লোকেশন ট্রাক করে বাগনানের নির্মীয়মান আবাসন থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে শুক্রবার গভীর রাতে।পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্ত সেখ আজাদ বেগতিক বুঝে চম্পট দেয়।পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। নাবালিকার মা সনেহারা বিবি বলেন “ছোট মেয়েকে অপহরণ করে জামাই ধর্ষণ করবে আমি ভাবতে পারিনি। আমার মেয়ে বাধা দেওয়ায় তাকে মারধর পর্যন্ত করেছে।আমরা জামাইয়ের কঠোর শাস্তি চাই।”আজ নাবালিকার জবানবন্দি নেওয়া হবে তমলুক আদালতে।

আরও পড়ুনঃ ভোট গ্রহন কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে,কমেছে ভোটারের সংখ্যা পশ্চিম মেদিনীপুরে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here