নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
আজ তিনি সকলের জুন আন্টি। শ্রীময়ীর সঙ্গে চলে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আর প্রতিবারই গো হারা হেরে প্যাভেলিয়নে ফেরে জুন আন্টি। লড়াই চলছে। চলবে। কিন্তু তা তো অনস্ক্রিনে। অফস্ক্রিনে? তাঁর জীবনে ঘটতে চলেছে এক দারুণ ঘটনা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পি এইচ ডি’র থিসিস পেপার জমা দিয়েছেন ঊষসী। ডক্টরেট ডিগ্রি পেতে বাকি আছে আর কয়েকমাস। পাঁচ বছরের মধ্যে নিজের থিসিস পেপার সেরেছেন অভিনেত্রী। তাঁর গবেষণার বিষয়- ‘রাজনীতিতে লিঙ্গ বৈষম্য’।
‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের শুটিঙের ফাঁকে ফাঁকে লিখেছেন পেপার। ছুটি নিয়ে ফিল্ড ওয়ার্ক করেছেন। একটা খুব দামী কথা তিনি বলেছেন -“লেখাপড়ার সঙ্গে অভিনয়ের বিরোধ নেই।”
ঊষসীর জীবনের বড় কমরেড বা সাথী তাঁর বাবা শ্যামল চক্রবর্তী সশরীরে পাশে ছিলেন না মেয়ের থিসিস জমা দেওয়ার দিনে। সকলের অলক্ষে তিনি ছিলেন নিশ্চিত। মনে প্রাণে মেয়ের ডিগ্রিলাভ দেখে যেতে চেয়েছিলে। শেষরক্ষা হয়নি। ৬ অগাস্ট গত হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ রবি ঠাকুরের ‘দুই বোন’ অবলম্বনে আসছে ‘মায়ামৃগয়া’
ঊষসী তাঁর সামাজিক মাধ্যমের দেওয়ালে যা লেখেন তা খানিকটা এরকম, বাবাকে বলেছিলাম আর কদিন সুস্থ থাকো। সেপ্টেম্বরে জমা দেব পেপার। বাবা বলেছিলেন- “সেপ্টেম্বর? সে তো অনেক দেরি।” সেই দেরি আর কোনওদিনও না!
আরও পড়ুনঃ লন্ডন সফর সেরে শহরের পথে টিম ‘অনুসন্ধান’
বাপ-মেয়ের লড়াই শুরু হয় অনেকদিন আগেই। সেই লড়াই আজও অব্যাহত। মা চলে যাওয়ার পর দুজনকে বেশ কষ্টের মুখেই পড়তে হয়। সেই জায়গা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে আজ ডক্টরেট হওয়ার পথে ঊষসী চক্রবর্তী।
ওদিকে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক প্রোমো জানান দিচ্ছে বদলে যাচ্ছে জুনের স্বভাব। সে শ্রীময়ীর সান্নিধ্য কামনা করে। এ কি সত্যিই জুনের স্বভাবগত পরিবর্তন নাকি নতুন কোনও ষড়যন্ত্র? জানান দেবে সময়। তবে ঊষসী চক্রবর্তীর জন্য রইল শুভকামনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584