নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
করোনা এবং আমফানের যুগলবন্দিতে নাজেহাল মানবকূল। এই সময়ে একে অপরের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিতে এতটুকু কার্পণ্য নেই কারোই। এবার সেই যজ্ঞে শামিল হলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সায়নী নিউজফ্রন্ট-কে জানান, “আমরা মানে আমি ও কয়েকজন বন্ধু মিলে যতটা সম্ভব ডোনেশন কালেক্ট করে শুরু করলাম ‘বেঙ্গল অ্যাবভ অল প্রজেক্ট’। আমাদের প্রথম প্রজেক্ট হল ‘নদীয়া রিলিফ’, যেটা আমরা সফলভাবে করে উঠতে পেরেছি।
আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিই আমাদের বাংলা যে দুটো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন (করোনা ও আমফান) হল, মানুষ হিসেবে আমাদেরও কিছু করতে হবে।” নদীয়া জেলার করিমপুরের তেহট্ট’র কথা আমরা জানতে পেরেছি। আমরা জানতে পেরেছি সেখানকার কিছু পরিবারের কথা, যারা বেশির ভাগই বয়স্ক এবং আমফানের প্রভাবে ভীষণভাবে বিধ্বস্ত। সেখানকার ৪০ টি পরিবারকে এক মাসের রেশন দিয়ে এসেছি আমরা।আটা, ডাল, ১০ কিলো চাল, আলু, তেল, ছাতু, সয়াবিন, চিড়ে, হরলিক্স বিস্কুট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডমেড মাস্ক, সাবান ছাড়াও বেসিক হাইজিন কিট।”
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের প্রথম রোগকেন্দ্রিক ফিকশন কিংশুক দে’র ‘DAY’
সায়নী ঘোষ ছাড়াও এই দলে রয়েছেন ডিজাইনার জয়িতা রায়, যে প্রায় ২৫০০ হ্যান্ডমেড গামছা মাস্ক তৈরি করে দিয়েছে আর্তদের জন্য। রয়েছেন অভিনেতা কৌশিক রায়, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার প্রসেন এবং অঙ্কিতা চৌধুরী ও দীপ বাতরা। স্থানীয় প্রশাসন এঁদের সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে বলে সহজেই কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সায়নী।
প্রথমে একটা স্কুলে কিছু পরিবারকে আনা হয়।এরপরে পঞ্চায়েতের ভিতরে কিছু বাড়িতে গিয়ে জিনিসপত্র দিয়ে আসা হয়। সায়নী আরও জানান- “এরপর আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের অন্তর্গত দীঘির পাড় বলে একটি জায়গায় যাব।যেখানে প্রায় ৫০টা পরিবারকে সারা মাসেরই রেশন দেবার চেষ্টা আমরা করব।” আগামীদিনে আরও ১০ টি জায়গায় গিয়ে রেশন দেবারপরিকল্পনা আছে ‘বেঙ্গল অ্যাবভ অল প্রজেক্ট’-এর। সকলকে এভাবেই আমাদের পাশে থকার আবেদন জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584