নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
‘টাপুর টুপুর’ ধারাবাহিকটা যাঁরা দেখতেন তাঁরা এক লহমায় চিনে ফেলবেন এই মানুষটিকে। তিনি শ্রীমতি পাইন। ‘টাপুর টুপুর’ ধারাবাহিকে মেজাজি, জেদি, অহঙ্কারী পায়েল থুড়ি মাফিন চক্রবর্তী যখন গ্রামের এঁদো গলির রাতুলের বউ হয়ে এল তখন তার সঙ্গে লড়াই চলত যে মানুষটির সেই ‘বুড়ি’ আজ বেজায় অসুস্থ৷ ডানদিক প্যারালাইসিস, সুগার ৪৩০-এর কোঠায়, এপাশ ওপাশ করতে পারেন না, কথা বলার শক্তি নেই।
মানুষটি আজ বড় অসহায়৷ বেশিদিন হয়নি খুইয়েছেন নিজের কাছের মানুষটিকেও। তার উপরে নিজের এমন অবস্থা। তাঁকে নিয়ে একপ্রকার নাকের জলে চোখের জলে একাকার হচ্ছেন তাঁর মেয়ে। তাই ফেসবুকে সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য প্রার্থণা করেছেন তিনি।
একটু পিছনে তাকালে দেখা যাবে, শ্রীমতি পাইন এক সময়কার বড় দাপুটে অভিনেত্রী। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র’র ছাত্রী ছিলেন তিনি। চিঠি এবং অগ্রগতি শিরোনামের দুটি জনপ্রিয় শ্রুতিনাটক তিনি পরিবেশন করেছেন অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এরপর উৎপল দত্ত’র ‘রাইফেল’-এর সৌদামিনী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় জাহানারা, নীহাররঞ্জন গুপ্ত’র ময়ূরমহল, মলিনাদেবীর পরিচালনায় দুর্গেশনন্দিনী, চন্দন মুখার্জির আর্তনাদ, গিরীশ ঘোষের নটী বিনোদিনীর আমোদিনী চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ আটকে গেল ‘ওস্তাদ’-এর শুটিং
কুলভূষণ খারবান্দার সঙ্গেও একই সেটে কাজ করেছেন। মহুয়া রায়চৌধুরীর প্রিয় দিদি ছিলেন তিনি। এহেন অভিনেত্রীর দিকে একসময় এগিয়ে আসত অনেক অটোগ্রাফ ডায়েরি। অথচ আজ এতটুকু সাহায্যের হাত এগিয়ে আসে না।
“লকডাউনের জেরে সঞ্চিত অর্থেও পড়েছে টান। এই সময়ে দাঁড়িয়ে সাহায্য চাওয়াও অমূলক। কিন্তু খুব বিপদে পড়েই সাহায্য প্রার্থণা।”— এমনই বয়ানে সাহায্যপ্রার্থী অভিনেত্রীর কন্যা আহেলি দাস। সরবরাহ করেছেন নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর। রইল তার স্ক্রিন শট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584