কেরল রাজ্যের শ্রমিকদের সাহায্যের অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের

0
170

রিচা দত্ত, মুর্শিদাবাদঃ

করোনা ভাইরাসের আতংকের কারণে লক ডাউন হয়েছে পুরো দেশ। সাত দিনের লকডাউনের নির্দেশ থেকে ২১ দিনের লকডাউন হওয়ার নির্দেশিকা জারি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের। এর জেরে যে কোন যান চলাচল আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Adhir Choudhuri | newsfront.co
ফাইল চিত্র

তার ফলে বহু শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারছেন না। তারা এই মুহূর্তে কেরল রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামেই ঘরবন্দি হয়ে আছেন। শ্রমিকদের সাহায্য করার স্বার্থে বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দেন।

যেখানে তিনি জানান,” যে সমস্ত শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন এবং ওনাকে ফোন করে তাদের সমস্ত সমস্যার কথা জানিয়েছেন, তাদের যেন অবিলম্বে সাহায্য করা হয়”। পাশাপাশি যে সমস্ত রাজ্যে, কাজের সূত্রে মুর্শিদাবাদের শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন। সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে, তাদের যাতে অর্থ ও অন্নের সংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তারই আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ করোনা প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে আর্থিক দান, রায়গঞ্জের বিধায়কের

letter | newsfront.co
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি। নিজস্ব চিত্র

মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার বিভিন্ন প্রান্তের বহু শ্রমিক আটকে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের কোন না কোন গ্রামে। তেমনই ভাবে সাংসদকে একটি ভিডিওর মাধ্যমে অনুরোধ জানান শ্রমিকরা।

আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর

এই লকডাউনের জেরে বহু শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারছে না। তারা এই মুহূর্তে কেরল রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে কার্যত ঘরবন্দি হয়েই আছেন । তাদের কাছে যতটুকু টাকা পয়সা ছিল কিছু জন বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর যেটুকু টাকা ছিল খাওয়া-দাওয়া করতে প্রায় শেষ হয়ে গেছে।

বাইরে থেকে প্রতিদিন তাদের খাবার খেতে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা খরচ হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। তাই তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানাচ্ছেন, যে তারা যেন মুর্শিদাবাদ জেলায় তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারে। নতুবা কিছু খাবারের সংস্থান করে দেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here