নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার নীলগঞ্জ গ্রামে আদিবাসী মানুষের সচেতনতার লক্ষ্যে বিজ্ঞান মঞ্চ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা পৌঁছে যান। ডাইন বলে কিছু নেই তা নানান ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় আদিবাসী মানুষদের। বিংশ শতাব্দীতে ও কুসংস্কারের অন্ধকারে ডুবে রয়েছে চন্দ্রকোনার নীলগঞ্জ গ্রাম। ডাইনি সন্দেহে মারধর, জরিমানা, বয়কট। গ্রামবাসীদের বোঝাতে ব্যর্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
প্রসঙ্গত মাসখানেক ধরেই চন্দ্রকোনা ২নম্বর ব্লকের বাসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নীলগঞ্জ গ্রামে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন মাতি সরেন। চিকিৎসক দেখিয়ে সুরাহা না মেলায় জান গুরুর দ্বারস্থ হয় রোগীর পরিজনেরা। জান গুরুর নিদান দেন গ্রামে ডাইনি আছে। তাই ডাইনি সন্দেহে বেদম প্রহার করে বয়কট করা হয় গ্রামেরই বাসিন্দা লক্ষ্মী হাঁসদাকে।
মোটা অঙ্কের জরিমানাও দিতে হয় তাকে। একমাস ধরে অত্যাচার সহ্য করার পর রুখে দাঁড়ায় লক্ষী হাঁসদা। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় সে। অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা গ্রামে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড় থাকে গ্রামবাসীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584