সেতুর জন্য জমি দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের সাথে জমিদাতাদের বৈঠক

0
39

শ্যামল রায়,কালনাঃ

Administrative Meeting with landlord for bridge construction
প্রতীকী ছবি

জোর করে কোন ভাবেই চাষীদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হবে না।নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন।তিনি ঘোষণা করেছিলেন কালনা শান্তিপুর গঙ্গার ওপর সেতু তৈরি হবে। টাকাও বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জমি দরকার।তিনি জমিদাতাদের কাছে আবেদন রেখেছিলেন স্ব-ইচ্ছায় জমি দিলে তবেই সরকার নেবে নইলে নয়।সেই মতে প্রশাসনিক আধিকারিকরা অ্যাপ্রচ রোডে জমির যাবতীয় কাজকর্ম সেরে ফেলেন এবং জমি কেনার জন্য নোটিশ জারি করা হয় কিন্তু জমির দাম কম থাকার কারণে অনেক চাষি অসম্মতি প্রকাশ করেন।তাই ফের আবার চাষিদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।জমির দাম বাড়ানো না হলে তারা জমি দিতে রাজি নয় এমনটাই জানিয়ে দেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের কিন্তু আধিকারিকরা জানিয়ে দেন জমির দাম বাড়ানো হবে তাই একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।জমির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব।

কালনা শান্তিপুর সংযোগকারী গঙ্গার ওপর ব্রিজের জন্য কালনা ২ নম্বর ব্লকের হাসপুকুর, পূর্ব সাহাপুর, বারাসাত ও কুলি আদাহ মৌজায় মোট প্রায় ৪৮ একর জমি দরকার হবে অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য।এর জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।৪২৪ জন জমিদাতা রয়েছেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে হাসপুকুর মৌজা চাষিরা জমির দাম নিয়ে আপত্তি তোলেন।
আরো জানা গিয়েছে যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কালনা শান্তিপুর সংযোগকারী গঙ্গার উপর সেতুটি তৈরি হবে।
এছাড়াও গত বছরের ৩০ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালনায় এসে ও প্রশাসনিক সভায় সহযোগিতা চেয়ে ছিলেন।জমির জন্য জোরপূর্বক জমি কেনা হবে না এমনটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, তবে চাষিদের কথা ভেবেই সমস্ত রকম সমস্যার সমাধান করে কালনায় তৈরি হবে সেতু এমনটাই আশ্বাসের কথা শুনিয়েছিলেন তিনি।এই সেতুটি তৈরি হলে এই এলাকার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি পাল্টে যাবে এমন টাই আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এবং এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ কৃষক সেতুর মেরামতি শুরু,যানজটের আশঙ্কা
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা সেতু তৈরির কাজ শুরু হতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি এবং অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জমির দাম ঠিক হয়ে গেলে জোর কদমে শুরু হয়ে যাবে কাজ।জেলা পরিষদেরসহ সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন যে, “আশা করব চাষিরা সরকারি নির্ধারিত দাম মেনে নেবেন এবং আমাদের উন্নয়নের সাথে যুক্ত হবেন।” জেলা পরিষদের উন্নয়ন পরিকল্পনা কমিটির সদস্য স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি প্রণব রায় জানিয়েছেন যে, “আশা করছি আর কোন সমস্যা থাকবে না চাষিরা ন্যায্য দাম নিয়েই জমি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করবেন এবং জমি দেবেন।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here