আনিসুর রহমানঃ-
অবশেষে মাঠে নামল কমিশন নিজেই।গতকালই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ আমাদের নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে জানিয়েছিলেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন থেকে শিক্ষক নিতে ইচ্ছুক মাদ্রাসাগুলোর উদ্দেশ্যে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কমিশন।হলোও তাই; সকাল বেলা খবরের কাগজ খুলতেই দেখা মিলল সেই বিজ্ঞপ্তি।একটি নয় একাধিক দৈনিক পত্রিকায়।মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিতে ইচ্ছুক রাজ্যের সরকার পোষিত মাদ্রাসাগুলো যাতে কমিশনের কাছে আবেদন করতে পারে সেই নিমিত্তেই বিজ্ঞপ্তি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ই মে সুপ্রিম কোর্ট এক অন্তর্বতী রায়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে অনুমতি দেয় ইচ্ছুক মাদ্রাসা গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করার।
মামলার প্রশ্নে বহুবছর ধরে নিয়োগ না হওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলো রুগ্নপ্রায় এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আদালতে পেশ করেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী মিঃ মোহন পারসন ও আবেদনকারীদের পক্ষে বিশেষজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। মহামান্য আদালত বিষয়টিকে যুক্তিযুক্ত মনে করে কমিশনকে শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগের আদেশ দেন।
আদেশনামা অনুযায়ী, আইনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহনকারীদের পক্ষে বিশেষজ্ঞ কৌঁসুলির মতামত সবিস্তারে শুনানির পর ও বিশেষভাবে শিশুদের শিক্ষার স্বার্থ বিবেচনা করে বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ মনে করেন শিক্ষকদের তীব্র ঘাটতির কারণে শিক্ষার উদ্দেশ্য ভোগান্তির সম্মুখীন।
বিচারপতিগণ আদেশ দেন, যে মসস্ত মাদ্রাসা নিয়োগ করতে ইচ্ছুক, তারা কমিশনের নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে প্রার্থী নিয়োগ করার অনুমতি পেতে পারে কারণ বহু বছর ধরে পূরণ না হওয়ায়, অনেক মাদ্রাসার পক্ষে যথাযথ ভাবে শিক্ষা দানে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে এবং মেধাতালিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে এবং উক্ত নিয়োগ চূড়ান্ত রায়ের শর্তাধীন থাকবে।২০১৩ সালের নির্দিষ্ট অপেক্ষারত প্রার্থীদেরও যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান নিতে ইচ্ছুক সেখানে তাদের নিয়োগ দেওয়া হোক যথাযথ মেধার ভিত্তিতে ।
সেই রায়ের ভিত্তিতে আজ বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞাপন দেয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।এই বিজ্ঞপ্তিযথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। অর্ডার কপি হাতে পেয়েই কমিশনের দ্রুততা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী ।আসলে সরকার কমিশন সচল করতে খুবই তৎতপর। এখানেই বড় প্রশ্ন সরকার কি তাহলে গ্রান্ট ইন এইড চায়- এমন মাদ্রাসা গুলো চিহ্নিত করতে চাইছে? ধারণা, এডেড কিংবা আনএডেড এই ভিত্তিতে সরকার মাদ্রাসা অচলাবস্থার সমাধান করতে চলেছে? ফাইনাল হেয়ারিং-এ বার বার গ্রান্ট ইন এইডের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সরকারি আইনজীবী। বিবৃতি অনুযায়ী, যেহেতু মাদ্রাসা গুলো সরকারের গ্রান্টে চলছে, সেহেতু নিয়োগ করবে না কেন? তাই আজকের বিজ্ঞপ্তি যে আদালত কক্ষের আলোচনার প্রতিফলন, তা বলায় বাহুল্য।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584