নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ‘রাজা ভাত-খাওয়া’ শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে খুব শিগগির আকাশে উড়বে ছয়টি শকুন। ইতিমধ্যেই খোলা আকাশে মুক্তির তালিকায় থাকা ছয় হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির ছয় শকুনের পিঠে বাইশ গ্রাম ওজনের নকল ব্যাগ-প্যাক বসানো হয়েছে।
ব্যাগ-প্যাকের ভিতরে থাকবে আসল স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ। এই যন্ত্রাংশের সর্বমোট ওজন হবে বাইশ গ্রাম। এই ব্যাগ-প্যাক নিয়ে খোলা আকাশে যাতে উড়তে কোনও অসুবিধে না হয়, সেই কারণেই এই নকল ব্যাগ প্যাক লাগিয়ে এখন মহড়ার কাজ চলছে। সম্প্রতি এই ছয় শকুনের চলাফেরা দেখে খুশি রাজা ভাত-খাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, একটি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগের দাম সাত লক্ষ টাকা। আমেরিকা থেকে এই উপগ্রহ সংযোগ ব্যবস্থা ক্রয় করেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ কোকওভেন প্ল্যান্ট কর্মীদের বদলির জেরে প্রতিবাদ সভা
এই সব স্যাটেলাইট ট্যাগের মাধ্যমে আকাশে উড়ে যাওয়া শকুনগুলো কোথায় রয়েছে, তা সহজেই জানা যাবে। কিন্তু কোনও ছবি সংগ্রহ করা যাবে না। ট্যাগে বসানো ট্রান্সমিটার শকুনের শরীরে লাগানোর জন্য কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন হয়। অনুমতি মিলেছেও।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভংকর সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই ছয় শকুনকে আকাশে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সব কাজ প্রায় শেষ। এখন উচ্চ স্তরের অনুমতি পেলেই এই শকুন ছাড়ার দিন তারিখ ঠিক করা হবে।”
জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজা ভাত-খাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে শকুন ছাড়া হলে তা হবে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় শকুন প্রজনন কেন্দ্র যেখান থেকে প্রজননের পর শকুন বাইরে ছাড়া হচ্ছে। ভারতে প্রথম হরিয়ানার পিঞ্জর শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে শকুন ছাড়া হয়েছিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584