নিজস্ব সংবাদদাতা, কোলকাতাঃ
২০১০ সালের NCTE বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা -৫০%সহ উচ্চমাধ্যমিক পাশ এবং ২ বছরের প্রশিক্ষণ। শিক্ষক মহলে সেই সময় হিড়িক পড়ে যায় NCTE’এর বেধে দেওয়া যোগ্যতা অর্জন করার।তারাও করেনও ,সরকারী উদ্যোগেও হয়। কিন্তু বেতন কাঠামোর কোন পরিবর্তন করেনি সরকার অর্থাৎ যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিকের অর্জন করলেও রাজ্যের প্রাইমারি শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন মাধ্যমিক যোগ্যতার।
শুরু হয় আন্দোলন রাজ্যব্যপী।গত ৭ই আগস্ট হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এই বেতন কাঠামো পরিবর্তনের দাবিতে মহানগর কাঁপিয়ে তোলেন। তবুও সরকার কর্ণপাত না করায় গতকাল থেকে একই দাবিতে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ।বিক্ষোভ কর্মসূচীকে সমর্থন জানিয়ে আজ পর্যন্ত উপস্থিত হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরী, অশোক গাঙ্গুলি, দিলীপ ঘোষ প্রমুখেরা।আজ বৃষ্টিতেও আন্দোলনের জমায়েতে ভাটা পড়েনি, বরং উপস্থিতির হার বেশি।
কিন্তু গতকাল এই আন্দোলকে কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে আগে এই শিক্ষকেরা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিক। এতে আন্দোলন কারীদের ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়।তারা মঙ্গলবার দাবি করেন যে শিক্ষামন্ত্রীকে আজ দুপুরের মধ্যে যোগ্যতার প্রমাণ নিতে আসতে হবে। দুপুর পেরিয়ে গেলে আন্দোলনকারীদের একাংশ মিছিল করে শিক্ষা মন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে মিছিল করে রওনা দিলে পুলিশ বাধা দেয়।আন্দোলনকারীদের দাবি পুলিশ তাদের হেনস্থা করে গ্ৰেফতার করে।গ্ৰেফতার করা হয় উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারী টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশান (UUPTWA) এর নেত্রী বেলা সাহাসহ সন্দীপ, পৃথা, নাফিসা, চন্দন, মইদুলদের।
লালবাজারেও তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনকারীরাও গ্ৰেফতার হওয়া শিক্ষকদের নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁদের মূল দাবিতে অনশনের কথা ভেবে আন্দোলন চালিয়ে যান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ গ্ৰেফতার করা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।(ছবি- সংগৃহীত)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584