মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া গলাকাটা দেহ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে কোচবিহারে।
বিজেপির উদ্ধার হওয়া মৃতদেহকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ওই ব্যক্তি তাঁদের কর্মী।বিজেপি ওই ব্যক্তিকে খুন করেছে।
যদিও ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি,তিনি বিজেপি কর্মী ছিলেন।ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির পক্ষ থেকে কোচবিহার-তুফানগঞ্জ সড়কের মারুগঞ্জ এলাকায় পথ অবরোধ করছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সাত সকালে কোচবিহার শহর সংলগ্ন ডাউয়াগুড়ির কাঠালতলা এলাকায় একটি পুকুর থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ওই মৃতদেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপাউতর শুরু কোচবিহারে।
মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম আনন্দ পাল(৩০)।তুফানগঞ্জের ভেলাকোপার বাসিন্দা।পেশায় তিনি ঢাকি ছিলেন বলে জানা গেছে।
আজ সকালে স্থানীয় লোকজন ওই ব্যক্তিকে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে দেখতে পায় পুকুরে পড়ে থাকতে।
ওই ঘটনার খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ।ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গতকাল রাতে কে বা কারা ওই ব্যক্তিকে গলা কেটে পুকুরে ফেলে দিয়ে যায় তা এখন জানা যায় নি।
মৃত ওই ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের ক্ষত থাকার পাশাপাশি গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ওই ব্যক্তি রাজনৈতিক কারণে খুন হয়েছে কিনা তা তদন্তে করেছে পুলিশ।
এবিষয় কোচবিহার জেলা বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন,সোমবার রাতে পাড়ায় পিকনিক ছিল৷ পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার কথা বলে বেরিয়েছে।কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেন নি৷ পথে তাকে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরে গলাকাটা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়৷পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।
অন্যদিকে,উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন,আজ সকালের পুকুর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীর মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।বিজেপি কর্মীরা তার গলাকেটে মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়া দেয়। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছে ওই যুবকের বাড়ির লোক তৃণমূল কংগ্রেস দলের সাথে যুক্ত। এবং তার পরিবারের লোক আমাদের দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন।বিজেপি দাবি করলে হবে না যে ওই ব্যক্তি বিজেপি।
তিনি আরও বলেন,বিজেপির হার্মাদরা মারুগঞ্জ এলাকায় ২০-২৫ দিন থেকে সন্ত্রাস শুরু করেছে।বাড়ি ভাঙচুর,জোর করে চাঁদা,লুটপাট করছে তারাই এই ঘটনার সাথে যুক্ত।
এর আগেওই বিজেপির হার্মাদরা মারুগঞ্জে একজনকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তারপর পেটলা বাজারের আমাদের এক তৃণমূল কর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করছে ওই বিজেপি।
এভাবে বিজেপি খুনের রাজনীতি করছে।মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপির হার্মাদদের প্রতিহত করতে হবে।ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আমরা পুলিশকে জানিয়েছি প্রকৃত যারা দোষী তদন্ত করে পুলিশ তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করুক।
আরও পড়ুনঃ নিরাপত্তা রক্ষীর সার্ভিস রিভালবারের গুলিতে মৃত্যু সাফাইকর্মীর
এদিকে মৃতের দাদা গোবিন্দ পাল সাংবাদিকদের জানান, এক সময় আনন্দ পাল তৃণমূল করতেন।এখন তারা বিজেপি করেন।তবে ওই খুনের ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা এখনও তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584