শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
কাটোয়া থেকে বর্ধমান ও কাটোয়া থেকে আহমেদপুর দুটি ন্যারোগেজের রেলপথ ছিলো।এই শতাব্দী প্রাচীন ছোট রেলপথকে ব্রডগেজ রেলপথে রূপান্তরিত করা হয় কয়েক বছর পূর্বে। এলাকার মানুষের স্বপ্ন ছিল এই দুটি রেলপথে ট্রেন সংখ্যা যেমন বাড়বে তেমনি চলাচলের ক্ষেত্রে ও অনেক সুবিধা হবে।
কিন্তু কাটোয়া থেকে বর্ধমান রেলপথ চালু চালুর পর থেকেই একটি ট্রেন মাত্র চলাচল করছে এই রেলপথে।২০১২ সালে প্রথম বর্ধমান থেকে বরগুনা পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়।সেই সময় পাঁচ জোড়া ট্রেন চলাচল করত এই রেলপথে। তারপরে ২০১৭ সালে শ্রীখন্ড থেকে বর্ধমান পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়।তারপরে ১২ ই জানুয়ারি কাটোয়া থেকে বর্ধমান পর্যন্ত সরাসরি রেল চলাচল শুরু করে।কিন্তু সেই থেকে একটি মাত্র ট্রেন কাটোয়া থেকে বর্ধমান পর্যন্ত যাতায়াত করে যাত্রীরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।তাই ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন যাত্রী সাধারণ।ইতিমধ্যে কাটোয়া রেল স্টেশন ম্যানেজারকে একটি স্মারকলিপিও দিয়ে দিয়েছেন।এছাড়াও কাটোয়া থেকে আহমেদপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৮ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচল করে মাত্র একটি ট্রেন। তাই যাত্রীসাধারণ এই রেলপথেও ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন।চলতি বছরে ২৪মে কাটোয়া থেকে আহমেদ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করে।অথচ ট্রেন সংখ্যা বাড়েনি তাই চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ।দক্ষিণবঙ্গের সাথে কাটোয়া থেকে আহমেদপুর রেলপথের গুরুত্ব অপরিসীম। আহমেদপুর থেকে সরাসরি চলে যাওয়া যায় উত্তরবঙ্গের মালদা শিলিগুড়ি এবং রামপুরহাট তারাপীঠ।ট্রেনের সংখ্যা কম থাকার কারণে যাত্রীরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।এই রেলপথে একটিমাত্র ট্রেন থাকার কারণে কাটোয়া থেকে আহমেদপুর যাবার পর তারাপীঠ যাওয়ার জন্য কিংবা রামপুরহাট যাওয়ার জন্য দীর্ঘ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় অন্য ট্রেন ধরার জন্য।তাই যাত্রীদের তরফ থেকে দাবি উঠেছে আরো অতিরিক্ত ট্রেন যেন চালু করা হয় এবং আহমেদপুর থেকেও তারাপীঠ পর্যন্ত আরো অতিরিক্ত ট্রেন চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন যাত্রীসাধারণ।
অন্যদিকে কাটোয়া থেকে বর্ধমান পর্যন্ত আরো ছয় জোড়া ট্রেন চালুর দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে তেমনি রেলমন্ত্রীর কাছেও একটি স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন যাত্রীসাধারণ তরফ থেকে।কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাবার পথে মঙ্গলকোটে রয়েছে বনকাপাসিসোলা শিল্পীদের বসবাসের স্থান।এই বনকাপাসি সোলা শিল্পীদের আন্তর্জাতিক মানের খ্যাত শিল্পীরা বসবাস করছে।এখানে গড়ে উঠেছে সোলা শিল্পীদের জন্য সোলাহাব।ট্রেন সংখ্যা কম থাকার কারণে এখানকার শিল্পীরা বিভিন্ন সময় যাতায়াতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়ছেন।
তাই দাবি উঠেছে কাটোয়া থেকে বর্ধমান কাটোয়া থেকে আহমেদপুর ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর।অথচ এই রেলপথে কয়েকটা জেলার মানুষ প্রচন্ড ভাবে নির্ভরশীল। বর্ধমান ছাড়াও রয়েছেন নদিয়া-মুর্শিদাবাদ বীরভূমসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের যাতায়াতের এই রেলপথটি অনেকটাই সুবিধাজনক বলে জানা গিয়েছে তবে রেল সংখ্যা কম থাকার কারণে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদের জেরে শ্বশুরের হাতে জখম গৃহবধূ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584