বর্ষীয়ান কর্মহীন অভিনেতার পাশে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা

0
229

নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ

টলিউডের এক বলিষ্ঠ, অভিজ্ঞ অভিনেতা শঙ্কর ঘোষাল। দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয়জীবন। কাজ করেছেন মহানায়কের সঙ্গেও। বড় ও ছোট পর্দা দুই ফিল্ডেই সমান দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন যে মানুষটি তাঁর জীবনটা আজ হঠাতই থমকে গেছে। কাজ নেই হাতে। ‘সৌদামিনীর সংসার’-এ শেষ কাজ করেন তিনি।

shankar ghoshal | newsfront.co
শঙ্কর ঘোষাল, অভিনেতা

তারপর থেকে কর্মহীন এক অভিনেতা শঙ্কর ঘোষাল। তাই অন্যের কাছে হাত পেতেই তাঁর দিনপাত। কথাটা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী এবং ঐন্দ্রিলা শর্মা।সব্যসাচী এই অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এ।শঙ্করের একটি ছবি শেয়ার করে সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন- মানুষটির অনুমতি নিয়েই কথাগুলো লিখছি।

sabyasachi and aindrila | newsfront.co

অনুমতি চাওয়াতে বললেন- “আমি বহুদিন আগেই লজ্জা পাওয়া ছেড়ে দিয়েছি ভাই, তবে নিজেকে মাঝেমধ্যে ছোট লাগে, তবু ভাবি অন্যায় তো করছি না, চেয়ে খাচ্ছি এই যা।”সব্যসাচী আরও লেখেন, দেখা হলেই এখনও পুরনো দিনের গল্প বলেন শঙ্কর দা। উত্তম কুমার, সলিল চৌধুরী আরও কতজনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলেন। দুঃখ করে বললেন- “বাংলার থিয়েটারটা শেষ হয়ে গেল এক কালে মাস মাইনা ছিল, বোনাস ছিল।

আরও পড়ুনঃ রক্তদান কর্মসূচি ব্যান্ড ক্যাকটাসের

দিল্লি ও বোম্বে থেকে নাম করা অভিনেতারা আসতেন, আর এখন হল গুলো দেখলে কষ্ট হয়।”শেষ কাজ করেছেন ‘সৌদামিনীর সংসার’-এ। সেটা শেষ হওয়ার পর আর কোনও কাজ পাননি। তার পূর্বে মহাপীঠ তারাপীঠে আমার সাথে ৩ দিন কাজ করে গেছিলেন। ছোট্ট একটা চরিত্র কিন্তু কি অপূর্ব মাপ অভিনয়ের! আমার এখনো মনে আছে।

শঙ্করদার কাজ নেই, খাবার পয়সা নেই। মাঝে এত খারাপ অবস্থা হয়েছিল যে কয়েকদিন তিনি হাতিবাগানের মোড়ে দাঁড়িয়ে হাতও পেতেছেন। নিজের স্ত্রী এবং ছোট নাতিকে নিয়ে থাকেন গৌরীবাড়ির মোড়ে এক জরাজীর্ণ বাড়িতে।ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচী চেষ্টা করছেন যৎসামান্য খাদ্যদ্রব্য তাকে পৌঁছে দেওয়ার। বাকিদের কাছ থেকেও অভিনেতার জন্য সাহায্য চেয়েছেন তাঁরা।”

আরও পড়ুনঃ প্রয়াত অভিনেতা বিক্রমজিৎ কনওয়রপাল, শোকের ছায়া বলিউডে

সব্যসাচী লেখেন- ক্যান্সারে আক্রান্ত একটা মানুষ যদি কেমো চলাকালীন কাউকে সাহায্য করতে চেয়ে, আমায় জিনিসের লিস্ট বানিয়ে জোর করে টাকা হাতে ধরিয়ে দিতে পারে, আমি বিশ্বাস করি এইটুকু অনেকেই পারবে। আমি আসার আগে শঙ্করদা বললেন – “ আমি একবার কমবয়সে সুযোগ পেয়েছিলাম সলিল চৌধুরীর হাত ধরে বোম্বে চলে যাওয়ার কিন্তু আমরা বাঙালিরা ইমোশনাল ফুলস্, আমার যাওয়া উচিত ছিল। তুমি কিন্তু সুযোগ পেলেই কলকাতা ছেড়ে চলে যেও, এখানে কিছু অবশিষ্ট নেই, সম্মানটুকুও না ”।

সব্যসাচীর কথায়– “এই একটা জায়গাতেই আমার একটু খারাপ লাগলো ওঁর কথায়। আমি কলকাতা ছাড়ব বলে বিদেশ ছেড়ে আসিনি। আমি অন্য কোথাও যাব না শঙ্করদা, আমি এইখানেই থাকবো, আমি এইখানেই গড়বো।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here