নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে এক প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানান “কর্নগড় গড়” ও “মহামায়া মন্দির” পুনরায় তৈরী ও সংস্কারের জন্য। শেষ ক্ষত্রিয় রানি শিরোমনির ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে এটা ক্ষত্রিয় সমাজের জন্য গর্বের। রানি শিরোমনি স্বর্গীয় রাজা অজিত সিংহের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তিনি বীরত্বের সাথে নিজে স্থানীয়দের ও রাজার সৈন্যদলকে নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন, ইতিহাসে যা চূয়াড় বিদ্রোহ নামে খ্যাত।
অনেক রাজপুত, ক্ষত্রিয় সেনাপতি এবং সৈন্যরা স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই যুদ্ধের নামকরণ হয় চূয়াড় বিদ্রোহ। কারণ দ্বিতীয় রানি সমাজের নিম্নবর্গের “সরকার” সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ছিলেন এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষেরা জাতি আলাদা সত্ত্বেও ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
১৫৬৮ খ্রীস্টাব্দে রাজা লক্ষন সিংহ কর্নগড় গড়ের প্রতিষ্ঠা করেন এবং তারপরে আরও ছয়জন রাজা ১৭৫৫ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। অপুত্রক শেষ রাজা অজিত সিংহের দ্বিতীয় স্ত্রী রানি শিরোমনি ১৮১২ খ্রীস্টাব্দে চূয়াড় বিদ্রোহের আগে পর্যন্ত এই গড় রক্ষা করেন।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারের ১০ খুদে জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রতিযোগিতায়
পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই সংস্কারের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে, জেলা সমাহর্তা পশ্চিম মেদিনীপুরকে বিডিও শালবনী মারফত বৃহস্পতিবার অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের তরফে তন্ময় সিংহ, সন্দীপ সিংহ ও শুভাশিস সিংহ একটি লিখিত আবেদন দিয়ে এই গড়ের মৃত রাজাদের এবং সমস্ত বীর রাজপুত ক্ষত্রিয় যোদ্ধাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বাউল অনুষ্ঠান পটাশপুরে
এই গড়ের নামকরণ প্রথম রাজা লক্ষন সিংহ এর নামে করার আবেদন সহ, গড়ের নবনির্মিত কটেজগুলি বাকি পাঁচ রাজা শ্যাম সিংহ, ছটু রায়, রঘুনাথ রায়, রাম সিংহ, যশোবন্ত সিংহ, অজিত সিংহের নামে এবং মূল কটেজটি রানী শিরোমনির নামে করার দাবী জানান। এই গড়ের পদ্মপুকুর টি রাজার প্রথম স্ত্রীর নামে করার দাবী জানায় এই প্রতিনিধিদল। অন্যথায় অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজ স্থির করেছে পরবর্তীতে রাজ্যজুড়ে সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাবে ইতিহাসকে সংরক্ষণ করার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584