নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
ধেয়ে আসছে দুর্যোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সর্তকতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার এই দু’দিন উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুর ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যার জেরে জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমনি, তাজপুর-সহ জেলার সমস্ত সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। সমুদ্রে নামা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমস্ত ট্রলার ফিরে আসার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ মাছ ধরার ট্রলার ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।পাশাপাশি বকখালি সাগরের মত সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উৎসবের মরশুমে মানুষকে সচেতন করতে পথে নামল পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আবহাওয়া দফতরের নির্দেশ পাওয়ার পরই বুধবার রাত থেকেই দিঘায় মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। পর্যটকদের সী বীচে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্রুত উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সরিয়ে আনা যায় যাতে তার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনের
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে পুজোর মধ্যে দুর্যোগে মাথায় হাত দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের। অনেকেই বলছেন পুজোর মধ্যে দিঘার পর্যটন ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। একটু একটু করে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে।
এর মধ্যে যদি নতুন করে ফের দুর্যোগ শুরু হয় তাহলে পর্যটকদের আসা একেবারেই কমে যাবে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। সকলেরই আশা দ্রুত কাটুক দুর্যোগ। সব মিলিয়ে কার্যত আতঙ্কের পরিবেশ থাকলেও প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584