শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
দীর্ঘদিন ঘরবন্দি জনতাকে ফের মুক্তির স্বাদ দিতে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করল রাজ্যের বিভিন্ন প্রমোদমূলক সংস্থা। শুক্রবার থেকে খুলে গেল আলিপুর চিড়িয়াখানা। একই সঙ্গে এদিন থেকে খুলে গেল ‘হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিউজিয়াম’ যা হয়ে উঠতে পারে পর্বতপ্রেমী মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণ।
তবে ১৭ মার্চের পর এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হলেও কোভিডের কারণে একাধিক নিয়মনীতি জারি করা হয়েছে। খাঁচার সামনে ১০ জনের বেশি কাউকে জমায়েত ও ভিড় করতে দেওয়া হবে না।
ছোট খাঁচার সামনে দাঁড়াতে দেওয়া হবে ৫ জনকে। দেখার জন্যও বেঁধে দেওয়া হবে সময়ও। তবে ১০ বছরের নিচে কোনও শিশুকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। অনলাইনে টিকিট কেটে এদিন প্রবেশ শুরু করেছেন দর্শকরা।
আরও পড়ুনঃ সিএবিতে করোনা পরীক্ষা, পজিটিভ শ্রেয়াণ- মুকেশ
বন দফতরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অন লাইন টিকিট কাটা যাচ্ছে। হাতে পানীয় জলের বোতল, মুখে মাস্ক রাখতেই হবে চিড়িয়াখানার ভিতরে বন্ধ রয়েছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। চিড়িয়াখানার মূল দরজায় থার্মাল স্ক্যানিং ও স্ট্যানিটাইজার মেশিন পেরিয়ে তবেই প্রবেশের অনুমতি মিলছে।
এদিকে ২ অক্টোবর সকাল থেকে পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হচ্ছে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিউজিয়ামও। প্রথম এভারেস্ট অভিযানে অভিজ্ঞ শেরপার ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে এবার নতুন করে একটি গ্যালারিও হয়েছে এখানে।
আরও পড়ুনঃ সিআরপিএফের ‘ফিট ইন্ডিয়া ফ্রিডম রান’ কলকাতায়
এক মহিলা অভিযাত্রীর ব্যবহৃত জিনিসপত্রও থাকছে নব কলেবরের এই মিউজিয়ামে। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অর্থাৎ এইচএমআই-এর বর্তমান প্রিন্সিপাল বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন জয় কিষাণের কিছু বিষয় থাকবে গ্যালারিতে। সবমিলিয়ে আগের তুলনায় আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে মিউজিয়াম।
মিউজিয়ামের কিউরেটর চন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রত্যেক পর্যটককে মিউজিয়ামে ঢুকতে হবে এবং বেরোতে হবে। প্রতি মুহূর্তে মাইকে ঘোষণা করা হবে। মিউজিয়াম দেখার জন্য প্রতিদিন অনলাইন এবং অফলাইনে সর্বোচ্চ ২০০০ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584