তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ব্যতিরেকে বদলি নিয়ে সরব সব পক্ষ

0
429

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ

sudipta sinha | newsfront.co
সুদীপ্ত সিনহা, সভাপতি বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘ। নিজস্ব চিত্র

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি ঘিরে বিতর্ক মুর্শিদাবাদে।
২০১৮ সালের মে মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ড্রাফটিং বা স্থায়ী ভাবে শিক্ষার স্বার্থে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত হয়েছেন তাদের পূর্বের স্কুলে ফেরানোর প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে গোটা জেলা তোলপাড়।

subhajit sinha | newsfront.co
শুভজিৎ সিনহা, জেলা সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেস প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। নিজস্ব চিত্র

এই সময়কালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ছিলেন নিহার কান্তি ভট্টাচার্য। ওনার সময়কালীন শুধুমাত্র মে থেকে ডিসেম্বার পর্যন্ত শিক্ষার স্বার্থে ৩২৯ জনকে ড্রাফটিং এবং ১১০ জনকে স্থায়ী ভাবে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল নতুন স্কুলে।

Ashok sarkar | newsfront.co
অশোক সরকার,জেলা সভাপতি ডব্লিউবিপিটিএ। নিজস্ব চিত্র

গত জানুয়ারি মাস থেকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক রূপে দায়িত্বে আছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাস।

সূত্রের খবরানুযায়ী হঠাৎ এক অজ্ঞাত কারণবশত এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুরনো স্কুলে ফেরানোর নির্দেশিকা জারি হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস জানান, আইন অনুযায়ী যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষক বদলি হওয়া উচিত সেই মোতাবেক উনি এই প্রক্রিয়া করবেন।মাঝখানে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির হস্তক্ষেপই
উনি মানবেন না। দপ্তরের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ দিয়েছে সেই মতে সবকিছু হবে। ২০১৮ সালে যে সমস্ত ড্রাফটিং হয়েছে সেটা ডিপার্টমেন্ট ভাল নজরে দেখেন নি।

alok goswami | newsfront.co
অলোক গোস্বামী, প্রাক্তন শিক্ষক। নিজস্ব চিত্র

এর কারণ বেশ কিছু বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে শিক্ষকের পরিমাণ কমে গেছে।তাই স্থানান্তরিত করার চিন্তাভাবনা অর্থাৎ পুরনো স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফেরানোর দাবি উঠেছে এবং সম্পূর্ণটাই ডিপার্টমেন্টের নির্দেশ মোতাবেক।

সমস্ত শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবর্গ এই বিষয়টিকে বিরোধিতা করলেও একমাত্র শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবর্গ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে শাসক দলের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ কলেজে অস্তিত্ব প্রমাণ করতে এভিবিপির মিথ্যা অভিযোগ, দাবি টিএমসিপির

শাসক দলের নেতৃত্বরাও চান না শিক্ষকরা ফিরে যান। যদি হয় তবে ২০০৫ সাল থেকে যে সমস্ত শিক্ষকেরা স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে অন্যান্য স্কুলে স্থানান্তরিত হয়েছেন সকলকে ফেরানোর দাবি উঠেছে। এই সুযোগে শাসকদলের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছে বিরোধীরা। আসরে নেমেছে বিজেপি-র শিক্ষক সংগঠনও।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here