নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত “অতিরিক্ত ব্যক্তিগত বন্ড” দাবি করা হয়েছে।
সীতাপুরের সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি জনস্বার্থ মামলায় কৃষকদের “আর্থিক অসুবিধের” অভিযোগের জবাব চেয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
উত্তরপ্রদেশের জেলা প্রশাসন কৃষকদের কাছে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত “অতিরিক্ত ব্যক্তিগত বন্ড” দাবি করেছে। সরকারের দাবি যে কৃষকরা আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করতে পারে এবং জেলায় কৃষক বিক্ষোভ শুরু হতে পারে, সেই কারণে এই বন্ড দাবি করা হয়েছে।
অরুন্ধতী ধুরু একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বলেন যে, সীতাপুর জেলা প্রশাসন ১৯ জানুয়ারী ট্র্যাক্টরের মালিক-কৃষকদের এই নোটিস জারি করেছে এবং বিক্ষোভে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার জন্য পুলিশ তাদের বাড়িঘর ঘিরে রেখেছে। ২৫ জানুয়ারীর আদেশে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ রাজ্য কর্তৃপক্ষকে জানতে চায়, “কোন পরিস্থিতিতে এত বেশি পরিমাণে ব্যক্তিগত ঋণ এবং দু’টি জামানত দাবি করা হয়েছে”? আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন স্থির করেছে আদালত।
মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট (মহোলি) পঙ্কজ রাঠোর বলেন, এই পদক্ষেপটি ন্যায়সঙ্গত এবং “আমরা যদি এ ধরনের পদক্ষেপ না নিই, সীতাপুরেরও একই অবস্থা হত।”
আরও পড়ুনঃ এফআইআর দায়ের হতেই বেপাত্তা সিধু
রাজ্যের বিজনৌর এবং মুজফফরনগরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কৃষক নেতাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এছাড়াও বাগপত থেকে দিল্লির ট্র্যাক্টর র্যালির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া শতাধিক ট্র্যাক্টর সহ এক বড় কৃষক মিছিলকে রাস্তাতেই আটকে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিডেন প্রশাসনের সাথে ফোনালাপ রাজনাথ-দোভালের
সূত্র অনুসারে এই কৃষকদের আটকানোর কারণ হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে। যদিও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ইতিমধ্যেই বহু কৃষক ঘুর পথে গাজীপুর সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছেন আন্দোলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584