শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
একাধিক অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বংশীহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক সরকার বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের সাথে অশালীন ব্যবহার সহ হেনস্থা করে চলেছেন।
আরও পড়ুনঃ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সেগুন কাঠ উদ্ধার
বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা তার কাছে গেলে, অভিযোগ তিনি সহযোগিতার বদলে দুর্ব্যবহার করেন। কিন্তু সৌজন্যতাবোধের কারনেই এতদিন ধরে দাঁতে দাঁত চেপে দুর্ব্যবহার সহ্য করে এসেছেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
উল্লেখ্য এইদিন বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ মহন্ত তার পেনশন সম্পর্কিত অথরাইজ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে সই চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক সই না করে আচমকা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং অথরাইজ লেটারটি ছিড়ে ফেলে,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ মহন্তকে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে ধাক্কা মেরে ঘর থেকে বের করে দেন।
এই ঘটনার তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন বংশীহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীরা।
তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপরে মানসিক নির্যাতন এবং অশালীন ব্যবহারের মাধ্যমে হেনস্থা করে চলেছেন।
প্রধান শিক্ষক অলক সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এই প্রথম নয়, গতবছরও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত এসআই এর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি।
এই নিয়ে তুমুল ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সে সময়। যদিও পরবর্তীতে সে সমস্যার সমাধান ঘটে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সত্যজিৎ কুন্ডু বলেন “বেশ কয়েকদিন আগেই কোন এক বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক অলোক সরকার তাকে মিথ্যা শ্লীলতাহানীর মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এই ঘটনায় যথেষ্ট ভিতি গ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।”
বিদ্যালয় স্টাফ সেক্রেটারি নগেন্দ্রনাথ রবিদাস বলেন” কোনরকম অফিশিয়াল কাজে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি আমাদের কোনভাবেই সহযোগিতা করতে চান না”
বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক সনাতন সরকার বলেন “ভোর ৪.৩০ থেকে রাত্রি ১১ অবধি বিদ্যালয় খুলে রেখে বিদ্যালয়ে নিজের কক্ষে থাকেন প্রধান শিক্ষক। কি কারনে গভীর রাত অবধি তিনি বিদ্যালয়ের কক্ষে থাকেন সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাই”।
ঘটনায় বিদ্যালয় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সহ বিশাল পুলিশবাহিনী বংশীহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এলে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হয়।
যদিও ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি প্রধান শিক্ষক অলোক সরকার এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুল ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584