পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
স্বপ্ন দেখেছিল সাত জনম এক সঙ্গে ঘর বাধার। কিন্তু সেই সম্পর্ক চির ধরতেই প্রেমিকার নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছাড়ার অভিযোগ উঠলো এক ডাক্তারি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি শহরে। অভিযুক্ত প্রেমিক এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে পুলিশসুপার ও জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ওই প্রেমিকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এদিকে অভিযুক্ত দাবি করেছেন প্রেমিকার পরিবারের জন্য সে বর্তমানে মানসিক রোগী তারা আমাকে বাধ্য করেছে ওই ছবিগুলো ফেসবুকে আপলোড করতে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত হলেন কাওসর আলি বাড়ি সিউড়ি শহরের কলেজ পারাতে।বর্তমানে সে ওড়িশাতে ডাক্তারিতে প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করে। আর প্রেমিকা শহরেরই সিউড়ি শহরের চাঁদনী পাড়ার বাসিন্দা এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী । দুজনেই দাবি করেছেন তাদের সম্পর্ক বছর ছয়ের। কিন্তু মাস চারেক ধরে তাদের সম্পর্ক বিশেষ কোনো কারণে চিড় ধরে। দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক তলানীতে এসে থেকে অভিযোগ এরপরই কাওসর তাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এবং ঐ প্রেমিকার নগ্ন কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করে। এই ছবি আপলোড করার ঘটনার কিছুদিন ধরেই চলছিল প্রথম ঘটনা ঘটে 8 মে। সেইদিনই প্রেমিকা ও তার পরিবার জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম বিভাগ জানায়। বিগত এক সপ্তাহ ধরে যেটার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত এবং অশ্লীল ছবিগুলি ফেসবুকে পোস্ট করতে শুরু করে। যদিও আপলোড করার কিছুক্ষণের পরেই কাওসর সেগুলো ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দিত এরপরই প্রেমিকা ও তার পরিবার পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। সাইবার ক্রাইম বিভাগ পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই তরুণী বলেন ছয় বছর ধরে সম্পর্ক হলেও ইদানিং আমার সবকিছু বিষয়েই নজর রাখছিল। যেটা আমার এবং আমার পরিবারের ভাল লাগছিল না ।তাকে বারবার বললেও সে আমাদের কথা শুনত না এবং চাপ দিতে লাগলো যদি সম্পর্ক আর রাখতে না চাও তাহলে তোমাদের অনেক ক্ষতি হবে। সেটা তোমরা পরে বুঝতে পারবে ।তার পরে ও এক সপ্তাহ ধরে আমার ছবি ফেসবুকে আপলোড করতে থাকে এবং পর কিছুক্ষণ পর সেগুলো ডিলিট করে ।সাইবার ক্রাইম বিভাগ জানিয়েও সেভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো ফল হয়নি। আমি চাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মোবাইল এবং ল্যাপটপ আমার যে সমস্ত ছবি আছে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হোক।
এদিকে অভিযুক্ত কাওসার আলী বলেন আমার প্রেমিকা ও তার মায়ের জন্য আমি মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছি। আমি ইতিমধ্যেই চারবার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছি। মেয়ে ও তার পরিবার আমাকে বাধ্য করেছে ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়তে ।মেয়ের মা আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক না মানতে না চাওয়াই আমি বাধ্য হয়েই ছবিগুলো পোস্ট করেছি। জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার জানিয়েছেন ঘটনার অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584