পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
গোপীনাথ মূর্মূ নামে বিজেপি’র সমর্থক এক আদিবাসী যুবককে কিছু দুষ্কৃতী অপহরন করেছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে রায়গঞ্জ থানার বারিদুয়ারী এলাকায়।ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অপহৃত ওই যুবকের কোনও খোঁজ পায়নি তার পরিবারের লোকজন।বিজেপি’র এসটি মোর্চার পক্ষ থেকে এই অপহরনের ঘটনায় তৃনমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।গোটা ঘটনা জানিয়ে অপহৃত ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এদিন রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশকে ২৪ ঘন্টার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।
তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।পুলিশ অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, গোপীনাথ মূর্মূ নামে ওই যুবক রায়গঞ্জ শহরের কাছে বারদুয়ারী এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে ড্রাইভারের কাজ করতো।সোমবার রাত ৭ টা নাগাদ সে তার ডিউটি শেষ করে বাইরে আসতেই ৬/৭ জন যুবক অতর্কিতে তার উপড়ে চড়াও হয়।তাকে মারধোর করার পাশাপাশি জোর করে তাদের সাথে আনা বাইকে চাপিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায় ওই যুবকরা।
অপহৃত ওই যুবকের স্ত্রী সনকা মার্ডি জানিয়েছেন,“ আমার স্বামী বিজেপি সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত।নির্বাচনের আগে বিজেপি করার জন্য শাসকদলের পক্ষ থেকে তাকে বেশ কয়েকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে।রবিবার বিকেলে দূর্গা হেমব্রম নামে স্থানীয় এক যুবক তার ৬/৭ জন সঙ্গী নিয়ে আমার বাড়িতে এসে স্বামীর খোঁজ করে। আমার কাছ থেকে আমার স্বামী ফ্যাক্টরিতে আছে জানার পরে তারা চলে যায়। যাওয়ার আগে তারা আমাদের উচিত শিক্ষা দেবে বলে হুমকি দেয়।এরপরে অনেক রাতে আমার স্বামী ফোন করে শুধু এটুকু জানায় তাকে কিডন্যাপ করে রাখা হয়েছে।এরপরেই ফোন কেটে যায়।এরপর থেকে তার ফোন সুইচ অফ থাকে। এখনো তার কোনও খোঁজ পাইনি। আমার ধারনা ওই যুবকরাই আমার স্বামীকে অপহরন করেছে।গোটা ঘটনা জানিয়ে আমি এদিন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’’
বিজেপি’র এসটি মোর্চার সাধারন সম্পাদক বাবলু সোরেন জানিয়েছেন,“ দূর্গা হেমব্রম নামে ওই যুবক এলাকায় শাসকদলের দুষ্কৃতী বলে পরিচিত।সে তার দলবল নিয়ে রবিবার ওই ফ্যাক্টরির গেট থেকেই গোপীনাথকে মারধোর করার পরে অপহরন করে।অপহৃত ওই যুবক এলাকায় একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী।বিজেপি করার অপরাধেই তাকে শাসকদল অপহরন করেছে বলে আমাদের ধারনা।পুলিশকে আমরা ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছি।তার মধ্যে ওই যুবককে উদ্ধার করা না হলে জেলার সমস্ত আদিবাসীদের নিয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করার পাশাপাশি ওই অপহরনকারীদেরকেও ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেবো।’’
স্থানীয় তৃনমূল নেতা তথা রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমতির সহ সভাপতি মানষ ঘোষ জানিয়েছেন,“ আমাদের দলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।ওই এলাকায় বিজেপি’ই শক্তিশালী। এই ঘটনা পুরোপুরি তাদের পারিবারিক বিষয়। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।’’
আরও পড়ুনঃ কামা ছয় ছয়টা মহিলাকে খুন করেছে বিস্মিত রাণীনগর
পুলিশ জানিয়েছে,অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি অপহৃত ওই যুবকের সন্ধানে তল্লাশী শুরু করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584