রুগীর পরিবারের অভিযোগ মিথ্যে, সাংবাদিক সম্মেলনে জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

0
34

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

কোচবিহারে সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাচ্চা চুরির অভিযোগের বিশ্লেষণ করতে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন এমএসভিপি (ভারপ্রাপ্ত) বিশ্বপ্রিয় সিনহা।

Hospital authority | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এদিন এই পরিস্থিতিতে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমএসভিপি বিশ্বপ্রিয় সিনহা বলেন, গতকালের ঘটনার প্রভাব হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সের মধ্যেও পড়েছে। তাঁরা মানসিকভাবে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ঘটনার জেরে তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ও চাপা উত্তেজনা গ্রাস করছে। এইভাবে প্রতিনিয়ত যদি হাসপাতাল চত্বরে গোলমাল হয় তাহলে ব্যাঘাত ঘটে কাজেও। তাই হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকলেও পুলিশের সাথে কথা বলে তা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এই হাসপাতালে সর্বমোট ৮০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। যারা এই মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

Hospital authority | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, রোগীর আত্মীয়রা যে অভিযোগ আনছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনিত। ওই সন্তানসম্ভবা প্রসূতি গত ১১ তারিখ ভর্তি হন এবং তিনি পরদিন যমজ শিশু জন্ম দেন, কিন্তু সেই শিশু দুটির অবস্থা সঠিক না থাকায় আমরা রোগীর আত্মীয়কে ডাকা হয় এবং জানিয়ে দেওয়া অন্য কোথাও স্থানান্তর করানোর জন্য। সেইসময় রোগীর আত্মীয়রা রাজি না হওয়ায় এখানেই চিকিৎসা শুরু হয় ওই দুই যমজ শিশুর, তাঁদের রাখা হয় এসএনসিইউতে। কিন্তু গতকাল ওই দুই যমজ শিশুর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। অপর শিশুটির অবস্থাও ভালো নয়। বর্তমানে সেও ভর্তি রয়ে্ছে এসএনসিইউতেই।

পাশাপাশি রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, তাঁদের সাথে হাসপাতালের সেবিকারা নাকি খারাপ ব্যবহার করেছে, এই অভিযোগও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি তাঁদের সাথে কথা বলছি এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, গতকাল কোচবিহার সরকারী হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে দুই যমজ শিশুর মধ্যে এক শিশু চুরির অভিযোগ উঠে। যার জেরে সাতসকালে উত্তেজনার পরিস্থিতিকে তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ, গত শুক্রবার কোচবিহার শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকার এক প্রসূতি সরকারী হাসপাতালে যমজ দুই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর রোগীর আত্মীয়রা ওই সন্তান দুটিকে দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের দেখতে দেয়নি বলে অভিযোগ আনেন তাঁরা। গতকাল সকালে রোগীর আত্মীয়রা সেই শিশু দুটিকে দেখতে আসলে হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের কর্তব্যরত নার্সেরা জানান তাদের দুই যমজ সন্তানের মধ্যে একজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই কথা শুনেই ক্ষুব্ধ হয়ে যান রোগীর পরিজনেরা। তাঁরা বারবার অভিযোগ জানাতে থাকেন আমার সন্তানের মৃত্যু হয়নি, বরং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই যুক্তি করে আমাদের সদ্যজাত ওই শিশুকে চুরি করেছে। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বিধংসী আগুন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী, হাসপাতাল থেকে কোনও শিশু চুরি হয়নি, বরং ওই সদ্যজাতের মৃত্যু হয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে ও বদনাম রটানোর চেষ্টা করছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here