নিজস্ব প্রতিবেদক, নিউজফ্রন্ট:
বর্তমানে করোনা অতিমারির কবলে সারা বিশ্ব। প্রতিদিনই বিশ্বব্যাপী কাজ খোয়াচ্ছেন সরকারি বেসরকারি কর্মীরা। ভারতবর্ষেও বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের অবস্থা শোচনীয়।
ঠিক সেরকমই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই দিন কাটছে রাজ্যের আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষকদের। প্রয়োজন অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকে, সাম্মানিকও খুব অল্প। কিন্তু ক্লাস করতে হয় পার্মানেন্ট শিক্ষকদের সমান । এছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসের কাজও তাদের কাজে লাগানো হয়। কিন্তু কাজের কোনো স্থায়ীত্ব নেই।
এই স্কুল আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘোরিয়া বলেন ,”আমরা আমাদের স্থায়ীকরনের আবেদন করেছি শিক্ষা মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নিকট। কিন্তু কোনো কাজ হয় নি।বর্তমানে বিশ্ব মহামারী করোনার জন্য সারা দেশে লক ডাউন চলছে। স্কুল থেকেও যে সামান্য মজুরি দেয় সেটাও এখন দিচ্ছে না । তাছাড়া এখন আমরা করোনার জন্য গৃহ শিক্ষকতা করাও বন্ধ রেখেছি। এইরূপ পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। অতি কষ্টের মধ্য দিয়ে আমরা জীবন যাপন করছি।তাই আমাদের এই দুঃসময়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আমরা আপৎকালীন সাহায্য প্রদান ও আমাদের স্থায়ীকরনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।”
আরও পড়ুন:কেবেল টিভির মাধ্যমে ক্লাস নেবেন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা
এই শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাম আমল থেকে শুরু হলেও বর্তমানেও চালু আছে। তাদের সংখ্যা এখন সারা রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার। কেউ ১৫ বছর, কেউ ৫ বছর আবার কেউ ২ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন । যৎসামান্য সাম্মানিক স্কুল ফান্ড থেকে দেওয়া হয়-৫০০ থেকে মাত্র ৩০০০ টাকা। সেটাও এখন বন্ধ থাকায় তারা এখন অসহায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584