সর্বাধিক বিক্রয় মূল্যের চেয়ে বেশী দাম নিয়ে ফেরৎ দিচ্ছে না অ্যামাজন

0
224

নিজস্ব প্রতিবেদক,বহরমপুরঃ

ধরুন আপনি আগে বাজার থেকে পছন্দ করে নিজে দেখে, চেখে জিনিস কিনলেন। দোকানদারকে বলে গেলেন যদি বাড়িতে পৌঁছে কোনো ডিফেক্ট খুঁজে পান তাহলে ফেরৎ দিয়ে যাবেন। দোকানদারও প্রত্যুত্তরে সাতদিনের মধ্যে সেটাকে বদলে দেওয়ার প্রতুশ্রুতি দিলেন। আপনি যথারীতি কিছু সমস্যার জন্য দোকানে পুনরায় সেটাকে বদলাবার জন্যে নিয়ে গেলেন। দোকানদারকে ডিফেক্ট টা বুঝিয়ে দেওয়ায় তিনিও প্রতিশ্রুতি মতন বদলে নতুন জিনিস আপনাকে দিয়ে দিলেন। কিন্তু আজকের দিনে মানুষের কাছে অনলাইনে কেন কাটা একটু সহজ মাধ্যম। বিশেষত শহুরে মধ্যবিত্তদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের। অনেকেই আমাজান, ফ্লিপকার্ট, ebay এবং আরো নানা সাইট থেকে নিজেদের পছন্দ মতো জিনিস কেনাকাটা করছেন। সহজ হয়েছে কেনাকাটা। মুশকিল হয়েছে আগের মতো তাকে বদলানো বা ট্যাক্স, MRP জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে তা থেকে দ্রুত সমাধান পাওয়া।
এরকমই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বহরমপুরের গোরাবাজারের বাসিন্দা সাঈফ উল আলম মহাশয়। গত ১৬ তারিখে সাইফ আমাজান থেকে অর্ডার করেছিলেন একটি মিল্টন unisteel water বোতল, যার দাম আমাজান জানিয়েছিল ৪৪৯ টাকা। ওয়াটার বোতলটি হাতে আসলে তিনি দেখেন যে সর্বাধিক বিক্রয় মূল্য বা এম.আর.পি ছিল ৪১০ টাকা, যাতে সমস্ত ট্যাক্স ধরেই দাম ঠিক করেছিল।

সেই প্রোডাক্ট

ঘটনাটা তিনি আমাজান কে ইমেইল করে জানান। প্রত্যুত্তরে আমাজান জানায়, তাদের ভুল হয়ে গেছে এবং আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই সাইফের প্রাপ্য ৩৯ টাকা তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রতিবেদন যেদিন লেখা হচ্ছে সেদিন অবধি আমাজন গ্রাহকের প্রাপ্য টাকা ফেরত দেয়নি।

প্রোডাক্টটির MRP Rs.410/

ঘটনাটি থেকে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে তা হলো
প্রথমত, আমাজনের মতো বৃহৎ ই-কমার্স সাইট গুলো ভারত সরকারের নির্দেশিত MRP থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে, সব ক্ষেত্রে না হলেও কিছু ক্ষেত্রে তো বটেই। সাইফের ঘটনাটা সামনে আসলেও এরকম অনেক ঘটনায় চাপা পড়ে যায় বলেই মনে হয়।

AMAZON নিয়েছে Rs.449/

দ্বিতীয়ত, প্রতিশ্রুতিমত গ্রাহকের প্রাপ্য টাকা ঠিক সময়ে ফেরৎ না দেওয়া। এটাকে গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে বোঝা যায়, বাস্তবে অনেক জটিলতা তাকে পোহাতে হয় ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়ার’ এই পাতা জোড়া ঝলকানিতে।

টাকা ফেরত দেওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি

আমাজন, ফ্লিপকার্টের আকাশ জোড়া হোর্ডিং অনেক ছিমছাম দেখালেও খোঁজ নিলে আমরা বুঝতে পারবো সাধারণ গ্রাহকের কাছে কেনাকাটার বিজ্ঞাপন যতই বাড়ুক না কেন, গ্রাহক সচেতনতার অভাবে এবং সরকারের উদাসীনতার ফলে বিশেষত মফসসল, গ্রাম গঞ্জের লোকেদের প্রতি একধরণের অবজ্ঞার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাজন জাতীয় ই-কমার্সের দ্বারা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here