শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
দিনরাত একাধিক করোনা রোগীকে নিয়ে তারা যাতায়াত করছেন। তাদের সুরক্ষায় সরকারি তরফে দেওয়া হয়েছে পিপিই কিটও। কিন্তু করোনা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহকারীদের একটা বড় অংশ পিপিই পরেছেন না। কেন নিজেদের সুরক্ষাকে তারা নিজেরাই অবহেলা করছেন, তার তদন্তে উঠে এল একাধিক অভিযোগ।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল, এম আর বাঙ্গুর বা কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মত করোনা চিকিৎসার কেন্দ্রগুলোতে করোনা রোগীদের নিয়ে যাওয়া-আসার কাজে যুক্ত ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের পিপিই না পরে থাকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
কোনও চালক বলছেন, “আমি যাঁকে এনেছি, আমি তাঁর কাছাকাছি যাইনি। তাঁর সংস্পর্শে আসিনি। সেই কারণেই পিপিই পরিনি। মাস্ক পরেছি।” আরেকটি ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের সহকারী বলেন, “এগুলি পরা এবং খোলা খুব সময়সাপেক্ষ। দ্রুত আমাদের বিভিন্ন রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছতে হচ্ছে। সেই কারণে পরা হয়নি। পরা উচিত। কাল থেকে পরব।”
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে পরপর তিনদিন ট্রাক ধর্মঘটের ডাক, পুজোর মুখে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা
আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ” আমাকে একটি পিপিই দেওয়া হয়েছিল। সেটি প্রথম রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি। তারপর ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় রোগীর ক্ষেত্রে আর কোনও পিপিই দেওয়া হয়নি। তাই আমিও পরিনি।”
আরও পড়ুনঃ দেশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে- হাথরাসে প্রতিবাদে পথে নেমে হুঁশিয়ারি মমতার
ডায়মন্ড হারবার থেকে আসা ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের চালক কেদার মণ্ডল বললেন, “আমি তিন থেকে চারবার পড়ে গেছি ওই পিপিই পরে। তাই এখন আর পরি না। পরা বন্ধ করে দিয়েছি।” যদিও চালকের পি়ছনের সিটে যত্ন করে পিপিই কিট রাখা রয়েছে।
অভিযোগ, দিনে দুজন থেকে তিন, এমনকি চারজন পর্যন্ত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা করছে এক-একটি অ্যাম্বুলেন্স। সেক্ষেত্রে প্রতিটি রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা পিপিই দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে পিপিই বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নজরদারির কেউ নেই। ফলে কে পরছেন, কে পরছেন না, তা দেখারও কেউ নেই। এদিকে এই বেনিয়মে স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এই নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের মধ্যে প্রচার চালানোর কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দফতর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584