সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
মানকরের অন্যতম প্রাচীন পঞ্চকালীতলার পুজো।কথিত আছে,বহুকাল পূর্বে এক তন্ত্র সাধক মানকরে আসেন।তিনি ঐ স্থানে পঞ্চমুন্ডীর আসন নির্মাণ করে তপস্যারত হন ও সিদ্ধিলাভ করেন।মন্দিরের ডানদিকে ভৈরব তলায় রয়েছে সেই সিদ্ধাসন।প্রথম থেকেই রজক পরিবার মন্দিরের দেখভাল করেন।রজক পরিবারের কমলাকান্ত রজক, সন্তোষ রজক,খোকন রজকরা জানান, এক নাম না জানা সাধু হঠাৎ এই স্থানে এসে উপস্থিত হয়ে মাতৃ আরাধনায় রত হন।পুজো শুরুর সময়ই রজক পরিবারের থেকে আতপ চাল চান পুজোর জন্য কিন্তু রজক বাড়িতে সেই সময় আতপ চাল ছিল না সেই বার্তা তাঁরা সাধুকে দেন। সাধু বাড়িতে খুঁজে দেখার কথা বললে পরিবারের সদস্যরা এসে দেখেন ফাঁকা হাঁড়িগুলি আতপ চালে পূর্ণ।একইভাবে পুজোর পর সাধকের নির্দেশ অনুযায়ী গোয়াল ঘরে গিয়ে ছাগের সন্ধান পান।সেই ছাগ বলি হয়। আজও তাই রীতি মেনে প্রথম বলি রজক পরিবারের নামে উৎসর্গিত হয়।সিদ্ধিলাভের পর সেই সাধু চলে যান।
বিগ্রহের দায়িত্ব দিয়ে যান তাঁর শিষ্যা ‘পঞ্চার মা’কে। মনে করা হয় পঞ্চার মা নাম থেকেই পঞ্চকালী নাম এসেছে।পঞ্চারা ছিলেন সিং উপাধিধারী।এই পুজোর পৌরোহিত্য করছেন বংশপরম্পরায় গোস্বামী পরিবার। মানকরের প্রাচীন পুজো হওয়ায় বহুমানুষ এখানে ছাগ মানসিক করেন তাই প্রতি বছর ব্যাপক সংখ্যায় ছাগ বলি হয়।তবে বলিদান নিয়ে রয়েছে বিশেষ নিয়ম। মায়ের সামনাসামনি বলি এখানে দেওয়া হয় না।মাকে বাঁদিকে রেখে বলির ব্যবস্থা।তবে বিশেষ আকর্ষণ ডাঁরা সিঁদুর।রীতি অনুযায়ী পুজোর পরদিন গোস্বামী পরিবারের বড় বউ কালীর পাটায় সিঁদুর দান করে এয়োস্ত্রীদের পরিয়ে দেন।মন্দির প্রাচীন হওয়ায় কয়েকবছর আগে সংস্কার করা হয়। নির্মাণ করা হয় পৃথক নাটমন্দির।পুজো উপলক্ষ্যে বহু ভক্ত প্রসাদ পান এখানে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584