মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
এবার রাজ্য সরকারের পুলিশকে এক হাত নিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তুফানগঞ্জ মহকুমার চিলাখানায়। ঘটনার একদিন পরেই এলাকায় যান রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তিনি ওই এলাকার বিধায়কও বটে। এইদিন তিনিও ওই এলাকায় গিয়ে দলীয় কর্মীদের সাথে কথা বলেন। বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে দুই দলেরই স্থানীয় কার্যালয়ের উপর আক্রমণ হয়। এইদিন রবিবাবু এলাকার তৃণমূল কার্যালয় ঘুরে দেখেন, সেখানে গিয়েই স্থানীয় পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগ্রে দেন।

তিনি বলেন, পুলিশের একাংশ বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছে। চিলাখানার গোলমালের পরই রবিবাবুর নিশানায় এবার তুফানগঞ্জের পুলিশ। তিনি তুফানগঞ্জ মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে নপুংসক বলেও হেয় করনে। রবিবাবু বলেন,পুলিশের একাংশের মদতেই বিজেপির এই বাড়বাড়ন্ত। তার অভিযোগ চিলাখানায় তৃণমূল কর্মীদের সাথে অন্যায় আচরণ করেছে পুলিশ।

চিলাখানার ইটভাটায় খবরদারি কার হাতে থাকবে এনিয়ে তৃণমূল বিজেপির কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছে। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি জয়ের পর থেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতার চেহারা পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামীণ স্তরে ক্ষমতা কার হাতে থাকবে এনিয়ে জেলার বিভিন্ন স্তরে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। চিলাখানা এলাকায় গ্রামীণ অর্থনীতি অনেকই নির্ভর করে ইটভাটা শ্রমিকের উপর। তাই ইটভাটা শ্রমিকদের নিয়ে খবরদারি নিয়ে দুই দলের মধ্যে তুমুল অশান্তি বাড়ছে। বুধবার এই অশান্তি চরম আকার নেয়। এরফলে পুলিশকে লাঠিচার্যও করতে হয়। নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার চিলাখানায় এদিনও রয়েছে চাপা উত্তেজনা।
অন্যদিকে এই সংঘর্ষের ঘটনায় সেখানে ৮ ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছে তুফানগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের দাবী আটক ব্যবসায়ীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এদিন ব্যবসা বন্ধের কারণে গোটা মহকুমাতে এর প্রভাব পড়ে। দোকান বাজার বন্ধ থাকায় অসুবিধার মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষ।
তু্ফানগঞ্জ মহকুমার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে কিংশুক মণ্ডল বলেন, রাজনৈতিক হিংসায় জড়ানো হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের। তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছে, হয়রান হচ্ছে। তিনি বলেন, চিলাখানায় আটক ব্যবসায়ীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। শান্তিকামি এই ব্যবসায়ীদের মিথ্যা অভিযোগে হয়রান করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে এইদিন তুফানগঞ্জে ব্যবসা বন্ধ থাকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর থেকে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত গোটা জেলা। এর ফলে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, যখন তখন গোলমালের ঘটনা ঘটে। আর এর মধ্যে নানা ভাবে ব্যবসায়ীরা জড়িয়ে পড়ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584