সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
দুর্গাপুরের মাইকেল মধুসূদন কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিলেন মেয়র দিলীপ অগস্তি।তাঁর এই সিদ্ধান্তে হতবাক শিল্পাঞ্চল।রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিব ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত?জানা যায়,মাইকেল কলেজে ২৪টি নতুন ক্লাসরুম সমেত একটি কনফারেন্স হলের উদ্বোধন ছিল। সেখানেই বিবাদের শুরু।অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা কলেজের হিন্দি বিভাগের শিক্ষিকা রুকাইয়া সাহিন হিন্দিতে সঞ্চালনা করছিলেন।বক্তব্য রাখতে উঠে মেয়র বলেন,হিন্দি ভাষার প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু হিন্দির সঙ্গে বাংলা ভাষাতেও সঞ্চালনা করা প্রয়োজন।
কলেজে অতিথিদের প্রায় প্রত্যেকে বাঙালি।ছাত্রছাত্রীরাও অনেকেই বাঙালি।তাই হিন্দির সঙ্গে বাংলা বললে ভালো। এরপর তিনি বলেন, ‘হিন্দিতে সঞ্চালনা শুনে মনে হচ্ছে,আমরা পাটনা বা ধানবাদে বসে আছি।’ অভিযোগ মেয়রের বক্তব্য শেষ হতেই সঞ্চালিকা জানান, হিন্দি ‘রাষ্ট্র ভাষা’ তাই হিন্দিতে সঞ্চালনা করে তিনি কোনও অন্যায় করেননি।
আরও পড়ুনঃ আধ্যাত্মিক জগতে যেতে চেয়ে পদত্যাগপত্র রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক
সঞ্চালিকার এই মন্তব্যে অপমানিত মেয়র তখনই কলেজ থেকে বেরিয়ে যান।কলেজের অধ্যক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হননি।
পুরসভায় গিয়ে কলেজের পরিচালন সমিতি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা উচ্চশিক্ষা দফতরে লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন।তাঁর অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষের সামনে অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা পরিচালন সমিতির সভাপতিকে অসম্মান করছেন।যেখানে মানির মান নেই সেখানে তিনি নেই বলেই জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী, কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মহম্মদ হেলালউদ্দিন সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
উপাচার্য সাধুনবাবু বলেন,সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই মেয়র আর্জি জানিয়েছিলেন।কলেজের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ ঘটনার জন্য মেয়রের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু মেয়রকে টলানো যায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584