নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
মৃত্যুর মিছিল কিছুতেই থামছে না জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। প্রতিদিন দুরুদুরু বুকে হয় মৃত নয় তো অসুস্থ গন্ডার উদ্ধারটাই এখন দস্তুর হয়ে উঠেছে জলদাপাড়ার বনকর্মীদের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই মৃত্যু উপত্যকায় মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ, ডিএফও কুমার বিমলসহ এক ঝাঁক বনকর্তা।গত তিনদিনে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পরপর পাঁচটি মাদি গন্ডারের রহস্য মৃত্যুর পর কার্যত দিশেহারা বনদপ্তর।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুতের তার লেগে খড় বোঝাই পিকআপ ভ্যানে আগুন
কারন, বেছে বেছে শুধু মাত্র মাদি গন্ডার গুলোই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে কেন এবং কেনই বা মাদি গন্ডাররাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাই নিয়েই মারাত্মক উদ্বেগ ছড়িয়েছে বনদপ্তরের অন্দরে।
একের পর এক গণ্ডারের মৃত্যুতে কার্যত দিশেহারা বনদপ্তরের আধিকারিকরা। আজ অর্থাৎ রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত হাতি সাফারি বন্ধ থাকবে ডুয়ার্সের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে।
জানা গেছে, মরক মোকাবেলায় কোলকাতা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ বন্যপ্রাণী চিকিৎসকদের দল গতকাল শনিবারই ছুটে এসেছেন জলদাপাড়ায়। এমনকি আগাম সতর্কতা হিসেবে জলদাপাড়ার কুনকি হাতিদের প্রতিষেধক প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বনদপ্তর।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘জঙ্গলে বন্যপ্রাণিদের সুরক্ষাকেই আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে আমরা কুনকি হাতিদের প্রতিষেধক টিকাকরণের কাজ শুরু করেছি। ওই পরিস্থিতিতে হাতি সাফারি ২৩ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ইতিমধ্যেই পূর্ব রেঞ্জের শিশামারা ও মালঙ্গি বিটেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচটি গন্ডারের। বনদপ্তর মনে করছে জঙ্গলের ওই নির্দিষ্ট এলাকাটি মোটেও পর্যটকদের জন্য নিরাপদ নয়। আচমকা এই ঘটনায় রীতিমতো হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584