নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিআইএম-এর ডাকে এনপিআর,এনআরসি, সিএএ বাতিলকরণের দাবি-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী ও শ্রমিকবিরোধী নীতির প্রতিবাদে আজ হেঁড়িয়া ময়দানে হাজার হাজার মানুষের জনসভা কার্যত জনসমুদ্রের আকার নেয়।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআইএম রাজ্য নেতা হিমাংশু দাস। সভায় মূল বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, বিধায়ক ইব্রাহিম আলি, যুব নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক, সিটু নেতা নির্মল জানা প্রমুখ।সভার শুরুতে দেশপ্রাণ, কাঁথি-১, কাঁথি-৩, রামনগর-১, রামনগর-২ প্রভৃতি ব্লকসমূহের দশ হাজারেরও বেশী মানুষের মহামিছিল কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে সভায় আসে।
অপরদিকে মুগবেড়িয়া,বাজকুল, কলাগেছিয়া প্রভৃতি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের মহামিছিল সভাস্থলে আসে। মহামিছিলে নেতৃত্ব দেন সিপিআইএম নেতা সুব্রত পণ্ডা,আশীষ প্রামাণিক, মামুদ হোসেন, ভরত মাইতি, সত্যরঞ্জন দাস,কালীপদ শীট, হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, সঞ্জিত দাস,কানাই মুখার্জী, অতুল্যসুন্দর উকিল প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ দিলীপের বিরুদ্ধে এফআইআর ফালাকাটা থানায়
সভায় খেজুরী-২ ব্লকের মানসিংহবেড় গ্রামের শতায়ুর দোরগোড়ায় উপনীত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরুণ দাসকে সম্বর্ধিত করা হয়। তাঁর হাতে গৃহনির্মাণের জন্য ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন বিমান বসু। সভায় সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী ও শ্রমিকবিরোধী নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন, ধর্মনিরপেক্ষতা আক্রান্ত, অর্থনীতি দেউলিয়া,কর্মসংস্হানের পরিবর্তে কর্মচ্যূতি চলছে। দেশ বিক্রির কর্মকান্ড অব্যাহত।নাগরিকত্বের কালাকানুন লাগু করে বিভাজনের রাজনীতি চলছে। এনপিআর ,এনআরসি, সিএএ -র নাম করে বাংলা-সহ সারা দেশের অধিবাসীদের নাগরিকত্বহীন করার অপচেষ্টাকে লালঝাণ্ডা রুখে দেবে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় প্রতিযোগিতায় নজর কাড়ল মেদিনীপুরের ছেলেমেয়েরা
বামফ্রন্ট ও সমস্ত গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দলসমূহের জোট গড়ে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের ধর্মীয়মেরুকরণের রাজনীতি রুখে দিতে হবে। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচাালিত রাজ্য সরকার আকন্ঠ দুর্নীতিগ্রস্ত। স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় প্রশাসনকে ব্যবহার করে প্রতিবাদী আন্দোলন স্তব্ধ করতে চাইছে। দুর্নীতির ফাঁস থেকে বাঁচতে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের সাথে গোপন আঁতাত ক্রমশ পরিস্ফুট হচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, খাল কেটে বিজেপির মত সাম্প্রদায়িক কুমিরকে আনার দায়িত্ব রাজ্যের তৃণমূল নেত্রী অস্বীকার করতে পারবেন না। বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে বাম,গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিসমূহের জোট সংগ্রামের মাঠে-ময়দানে থাকবে।
সিপিআইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান, আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজীর জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস, ২৬ জানুয়ারি সংবিধানরক্ষা দিবস ও ৩o জানুয়ারি সম্প্রীতি দিবস হিসাবে পালিত হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584