সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বাচ্চার শরীর খারাপ করেছে। ডাক্তার সিরাপ দিয়েছেন। সেই সিরাপ বাজার থেকে কিনে এনে শিশুর মুখে দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে শিরাপের বোতলের ছিপি খুলে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলেন বাড়ির লোকেরা। সিরাপের ভেতরে মরা পিঁপড়ের সারি। অথচ সিরাপ ম্যানুফ্যাকচারিং লেখা রয়েছে যা সদ্যই তৈরি হয়েছে অর্থাৎ ২০১৯ সাল। এক্সপায়ারি ডেট ২০২১ সাল।
তাহলে কেন এমন হলো? দোকানদার বলছেন,সিরাপ জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই এই ধরণের অভিযোগ আসছে। সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে দোকানের দিকে আঙুল তোলেন শিশুটির বাবা মা।
যদিও দোকানদারের বক্তব্য, ওষুধ সিল করা ছিল।যেমন সাপ্লাই তাঁরা পেয়েছেন সেই ভাবে ওষুধ বিক্রি করছেন। এতে দায় তাাঁদের নেই। অর্থাৎ দোকানদার এই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ওপর।
অবশেষে ওষুধ ফেরত নিয়ে অন্য ওষুধের বোতল দিয়ে ঘটনা মিটমাট করেন।
আরও পড়ুনঃ উদ্ধার জাল হোমিওপ্যাথি ওষুধ,ধৃত ২
যদিও দুর্গাপুরের বাসিন্দা বলছেন,ওষুধ খাওয়ার আগে খুব ভালোভাবে দেখেই তবে মুখে দিতে হবে। যদি না হতো তাহলে হয়তো এক্ষেত্রে প্রাণহানির মতো কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584