পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
“অনুর্বর জমিকে পাঁচনবাড়ি দিয়ে উর্বর করতে হয়।রেডি হন। পুজোর পর থেকে আরম্ভ করব।কোনও অনুর্বর জমি ফেলে রাখব না।উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।এবার দেখবেন আরও অনেক কিছু দাঁড়িয়ে থাকবে।” আজ সিউড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ অন্য সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বললেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।আজ জেলা সভাধিপতি হিসেবে শপথ নেন বিকাশ রায় চৌধুরি।শপথ নেন অন্য সদস্যরাও।শপথ বাক্য পাঠ করান জেলাশাসক মৌমিতা গোধারা বসু। অনুষ্ঠানের পর জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে সংবর্ধনা দেন জেলা পরিষদের সদস্যরা।
অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রনাথ সিনহা।সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাধিপতিকে আগামী ৫ বছরের কাজের তালিকা বেঁধে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন,”৮ হাজার ৭৫৩ টি কালভার্ট আছে। সেগুলির মাধ্যমে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যোগাযোগ হয়। আগামী ৫ বছরে সেগুলি শেষ করতে হবে।খালি লাল গাড়িতে ঘুরে আর লাল লাইট জ্বালালে হবে না।কাজ করতে হবে,পরিষেবা দিতে হবে।সামনের লোকসভায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে আড়াই থেকে তিন লাখ ভোটে জিততে হবে। সিউড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে দেড় থেকে দু’লাখ ভোটে জিততে হবে।” এরপরেই কিছুটা সুর চড়িয়ে দলের বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মী ও বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,”কিছু অনুর্বর জমি পড়ে থাকে।পাঁচনের বাড়ি দিয়ে জমিটাকে ভালো করে উর্বর করতে হয়। রেডি হন।পুজোর পর থেকে আরম্ভ করব। কোনও অনুর্বর জমি ফেলে রাখব না।” সভা শেষে মাইক হাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও প্রায় একই কথা বলেন তিনি।লোকসভা ভোটেও উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে কি না প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন,”উন্নয়ন তো রাস্তায় দাঁড়িয়েই আছে।এবার দেখবেন আরও অনেক কিছু দাঁড়িয়ে থাকবে।”
ফের ফর্মে অনুব্রত। ‘গুড় বাতাসা’, ‘চড়াম চড়াম ঢাক’ ও ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে’-র পর অনুব্রতর মুখে শোনা গেল এই নতুন কথা।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন অনুব্রতবাবু।এবার ফের পুরোনো বিতর্ককে উসকে দিয়ে তিনি কার্যত বিরোধীদেরই হুঁশিয়ারি দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে অনুব্রতর দাওয়াই ভড়কে যাচ্ছে না বিজেপি।তাদের পাল্টা হুঁশিয়ারি, পাচনের জবাব ডাঙেই দেবে বিজেপি একদিকে অনুব্রত মণ্ডল যখন দলীয় কর্মীদের ‘পাচনের বাড়ি’র দাওয়াই দিতে বলছেন, তখন পাল্টা হুমকির সুর বিজেপি বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের গলায়। তিনি বলেন,”পাচন দিয়ে গরু মারে।সেটা একরকম সরু সরু পাচন হয়।এখন আমাদের কর্মীরা তো গাঁয়ের মানুষ।গাঁয়ের মানুষ ডাঙ হাতে চাষ করতে যান।কেন যান? কারণ,মাঠে অনেক সময় সাপ খোপ বেরিয়ে আসে।ডাঙ দিয়ে সেই সাপ মারা হয়।আমাদের কর্মীরা পাচনের জবাব এই ডাঙেই দেবে।”
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তা সংস্কারের সূচনা করে কথা রাখল নবনির্বাচিত নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584