ধর্ষিতার ওপর চাপ সৃষ্টি গ্রামের সালিশি সভার

0
55

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

ধর্ষণের মামলা তুলতে ধর্ষিতাকে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ গ্রামের মোড়লদের বিরুদ্ধে। সালিশি সভা করে গ্রাম থেকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতা মহিলা ও তার পরিবারকে, বিবস্ত্র করে নির্যাতিতাকে গ্রাম ঘোরানো হুঁশিয়ারি। বিচার চেয়ে পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকের দ্বারস্থ নির্যাতিতা।

প্রায় দু মাস আগে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার চরিচা গ্রামে এক আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পাশের গ্রামের তিনজন যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিনজন যুবককে গ্রেফতার করে মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ।কিন্তু নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ গতকাল রাত্রে তাদের গ্রামে একটি সালিশি সভা বসায় গ্রামের মোড়লরা। তারপরেই নির্যাতিতা মহিলার বাড়ির লোককে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়, বিচার মানতে রাজি না হাওয়াই চরম শাস্তি দিল মোড়ল।

নিজস্ব চিত্র

মোড়লের নিদান গ্রামের কোন জল ব্যবহার করতে পারবে না নির্যাতিতা ও তার পরিবার। কারো সাথে কোনরুপ কথা বলতে পারবে না, যদি কথা বলার চেষ্টা করে বা কারো সাথে মেলামেশা করে তাহলে নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা, অপরদিকে যাদের সাথে কথা বলবে তাদেরকে দিতে হবে দশ হাজার টাকা। শুধু এতেই থেমে নেই নিদান, নির্যাতিতার পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করতে পারবে না গ্রামের স্কুলে। যতদিন না অভিযোগ তুলবে কার্যকর থাকবে এই নিদান। অনেক চেষ্টার পরও যখন অভিযোগ তুলতে অস্বীকার করছে পরিবার, তখন মোড়লের শেষ নিদান যদি অবিলম্বে অভিযোগ পত্র প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে বিবস্ত্র করে গ্রাম ঘোরানো হবে নির্যাতিতাকে। আর এতেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতা ও তার পরিবার।

২০১৮ সালে দাঁড়িয়ে আদিম যুগের প্রথা মেনে কিভাবে বসছে সালিশি সভা? প্রশ্ন নির্যাতিতার নিরাপত্তা নিয়েও, কিভাবে এত সাহস পাচ্ছে অভিযুক্তরা ? প্রশ্ন নির্যাতিতার।বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদরা বসু জনান,বিষয় টি নিয়ে বিডিও কে বলা হয়েছে, যাতে ওই মহিলারা কোনো অসুবিধা না হয়।

আরও পড়ুনঃ মালদহে জালনোট সহ গ্রেফতার এক পাচারকারী

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here