হটস্পটের আওতায় না এসেও আতংকে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ

0
38

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

হটস্পট ঘোষণা করা না হলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ও দাঁতনের যে দুটি এলাকায় করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গিয়েছে সেই দুই এলাকাকে পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেছেন, দুটি জায়গাতেই পুরো গ্রামকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। করোনা পজিটিভ রোগীদের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সিল করে দেওয়ার পর ওই গ্রামগুলিতে হোম ডেলিভারিও চালু করা হয়েছে।

hotspot | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সচেতনতায় ব্যবসায়ীদের মাস্ক-স্যানিটাইজার বিতরণ তৃণমূলের

উল্লেখ করা যেতে পারে দাসপুরের নিজামপুরে একই পরিবারের তিনজনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তারা এখন বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি। অপরদিকে দাঁতন দুই ব্লকের সাউরিতে এক বৃদ্ধের শরীরেও মিলেছে করোনা পজিটিভ। তিনি বর্তমানে ভূবনেশ্বরে ভর্তি আছেন। অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে এপর্যন্ত ১৪ জনকে করোনা সন্দেহে করোনা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সাউরী গ্রামের যে রোগীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে তিনি ভুবনেশ্বর যাওয়ার আগে মেদিনীপুরের যে দুটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন সেখানকার ৫০ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে যারা সরাসরি ওই রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন এরকম ১৪ জনের শনিবার করোনা পরিক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দুএকদিন পরে তাদের পরিবারের লোকজনদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

এদিকে লকডাউনের মধ্যেও পরিযায়ী শ্রমিকদের আনাগোনা চলছে। যানবাহন না পেয়ে ভুবনেশ্বর থেকে বাঁকুড়া রেলপথ ধরে পায়ে হেঁটে ফিরছেন শ্রমিকরা। তারা এদিন মেদিনীপুর শহর দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের পথ আটকায়। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেছেন, সমস্ত জায়গাতেই পরিযায়ী শ্রমিক আটকে আছেন। তারা বাড়ী ফেরার চেষ্টা করছেন। তাদের বোঝানো হচ্ছে। তারা সহযোগিতাও করছেন। প্রয়োজনে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এনিয়ে তারা কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here