ভুয়ো ডাক্তার গ্রেফতার উত্তেজনা এলাকায়

0
88

শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামের আম গড়িয়ায় বাড়ি এক ভুয়ো ডাক্তার কে গ্রেপ্তার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কাব‍্যেন্দু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বড় সার্জেন বলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দাদের।
শেষমেষ রক্ষা হয়নি তার এই চিকিৎসা ব্যবস্থা। এক মহিলার ভুল চিকিৎসার কারণে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছেন ওই ভুয়ো ডাক্তার।ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।অভিযোগ করেছেন এক প্রসূতির বাবা। অভিযোগকারী আনে শেখ বলেন যে “আমার মেয়েকে বড় সারজেন বলে পরিচয় দিয়ে মিথ্যে ভাবে এপেন্ডিসাইড হয়েছে বলে অপারেশন করেন।পরে শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে আমরা জানতে পারি যে মেয়ের এপেন্ডিসাইড হয়নি অথচ মিথ্যাভাবে কাটোয়া শহরে নিয়ে গিয়ে এক নার্সিংহোম থেকে পেট চিরে ১২হাজার টাকা নিয়েছেন ওই চিকিৎসক।মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়ে মিথ্যে ভাবে আমাদের ঠকিয়েছে। তাই আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।”পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে এবং পুলিশ তদন্তে নামে জানতে পারে যে ওই চিকিৎসকের সমস্ত ডিগ্রী গুলোই ভুয়া।পুলিশ আরো জানতে পেরেছেন যে মাধ্যমিকে তিনবার ফেল করার পর চতুর্থবার সে পাশ করে এবং হঠাৎ রাতারাতি কয়েক বছরের মধ্যে বড় চিকিৎসক হয়ে যায় এলাকায় এমনটাই প্রচার।এই ভুয়ো চিকিৎসক এর পিছনে কোন ল্যাবরেটরি এবং কোন কোন নার্সিংহোম জড়িয়ে আছে বিষয়টি তদন্ত করবার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ওই চিকিৎসককে।আরো অভিযোগ করেছেন কেতুগ্রামের আনখোনা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিথুন মিয়া। তিনি জানিয়েছেন যে “আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি ওই ব্যাক্তি পড়াশোনায় ভালো ছাত্র ছিলেন না হঠাৎ করে দিল্লি চলে যান।কয়েক বছর পর বাড়ি ফিরে এসে সে জানায় যে আমি বড় চিকিৎসক হয়ে গিয়েছি সেই থেকে চিকিৎসা করতে শুরু করেন এলাকায়।ওই প্রসূতিকে মিথ্যে ভাবে অপারেশন করিয়ে টাকা নেওয়ায় ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।ওই চিকিৎসক আমাকে রক্ষা করার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা এনে মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয়।যদিও আমি রাজি হইনি তার পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।” উল্লেখ্য যে গত ২২ অক্টোবর কেতুগ্রামের বিড়ি গ্রামের বাসিন্দা জোসনা বিবি নামে এক প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই চিকিৎসক এপেন্ডিসাইড হয়েছে বলে ভুল চিকিৎসা করান।তারপর থেকেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায় এবং প্রকাশ্যে ঘটনাটি আসে।এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ যে ওই চিকিৎসক প্রসূতিদের গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যবসা চালাতেন এলাকায়।তাই কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন রাতারাতি।এছাড়াও ওই চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে মলমূত্র কফ পরীক্ষা করা হয় বলে লিখলেও তার কোন নিজস্ব ল্যাবরেটরী এবং ডিগ্রি ছিল না অথচ চিকিৎসা করে যেতেন দিনের পর দিন।এমনটাই অভিযোগ ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।কেতুগ্রাম থানার আইসি বাসুদেব সরকার জানিয়েছেন যে “ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অনেককিছুই অসংলগ্ন বলে মনে হচ্ছে আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”

আরও পড়ুনঃ মনোহর পরিক্কর অসুস্থ, গোয়ায় দরকার নতুন নেতৃত্বঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here