পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
নদীয়ার শান্তিপুরে বিষ মদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বারো জনের,এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আঠারো জন,যাদের চিকিৎসা চলছে।সেই ঘটনার জেরে আবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন,রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় চোলাই কারবারিদের ধরপাকড়, চলছে কড়া আইনি পদক্ষেপ।নদীয়ার শান্তিপুরের ঘটনায় চোলাই মদ কারবারের রাজা গনেশ হালদারকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।ঘটনার জেরে ওই এলাকার থানার বেশ কিছু পদস্থ সরকারি কর্মচারীর বদলি এবং আবগারি দফতরের বেশ কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে প্রথম নয়,এর আগেও বহুবার আমরা দেখেছি চোলাই মদ খেয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর মতো ঘটনা।
এই সকল ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় থানাগুলির তরফ থেকে চোলাই মদ কারবারিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে করার ব্যবস্থা।আনাচে-কানাচে গজিয়ে ওঠা চোলাই ঠেক গুলিতে পুলিশি হানায় গ্রেফতার হচ্ছে চোলাই কারবারিরা। সেরকমই গতকাল দুবরাজপুর থানা তরফ থেকে এলাকায় গজিয়ে ওঠা বেশ কিছু চোলাই কারবারিদের ঠেকে হঠাৎ করে হানা দেয়।বীরভূম জেলা পুলিশ ও বীরভূম জেলা আবগারী দফতর যৌথ তল্লাসি অভিযান চালিয়েছে।
জানা গিয়েছে,গতকাল সারা রাত্রি ব্যাপী দুবরাজপুর থানার পুলিশ দুবরাজপুরের পাঁচটি এলাকায় হানা দেয়।হানা দিয়ে সেই সকল এলাকাগুলির বেশ কিছু জায়গা থেকে মিলেছে চোলাই মদ এবং বেআইনিভাবে লাইসেন্স ছাড়াই দেশি ও অন্যান্য মদ। ঘটনাস্থলে পুলিশ চোলাই মদের অনেকটাই নষ্ট করেছে এবং বাকি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জন অভিযুক্তকে, যাদের আজ দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানান,বীরভূমের সব থানা গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে , বেআইনি চোলাই মদ কারবারিরা যাতে সক্রিয় হয়ে উঠতে না পারে সে বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।চোলাই নিয়ে কোনো অভিযোগ এলেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ অবৈধ মদের বিরুদ্ধে অভিযান উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584